আগামী পহেলা বৈশাখ শেরপুরের সোহাগপুরের বিধবাপল্লীতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের বিজয় উদযাপন করার ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার শনিবার রাতে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতনেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। শনিবার রাতে ফাঁসি হওয়ার পর বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে, আতশবাজী ফুটিয়ে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার রায় কার্যকরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অত্যন্ত দৃঢতার সঙ্গে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এ রায় কার্যকর করেছেন। তাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। তিনি আমলে নেননি।’
কামারুজ্জামানের স্বজনদের বৃদ্ধাঙ্গুলী : ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কামারুজ্জামানের স্বজনদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখান ইমরান এইচ সরকারসহ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
তিনি বলেন, ‘কামারুজ্জামানের সন্তানেরা আমাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বলেছিল- পারলে আমার বাবার বিচার করিস। আজ আমরা তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো রাজনীতি চলতে দেওয়া হবে না।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে ইমরান বলেন, ‘এই যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানেরা দেশের কোথাও নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আপনারা প্রতিহত করুন। তারা যেন কোথাও তাণ্ডব না করতে পারে।’
এ সময় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরাসহ উপস্থিত সাধারণ জনগণ বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাশ প্রকাশ করেন। এ সময় অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা দেখা যায়। অনেকে কপালে জাতীয় পতাকা বাঁধা অবস্থায়ও ছিলেন।
এ সময় ‘জ-তে জাতিসংঘ, তুই রাজকার তুই রাজাকার’, ‘এই মাত্র খবর এল, কামারুজ্জামানের ফাঁসি হল’- এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়। সেই সঙ্গে বের করা হয় বিজয় মিছিল। মিছিলটি শাহবাগের পাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কামারুজ্জামানের ফাঁসি শনিবার রাতে কার্যকরের সম্ভাবনা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগের জন সমাগম বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে মাটির প্রদীপ প্রজ্জ্বল করা হয়।
–