বেনাপোলের পল্লীতে কাল বৈশাখীর সংঘর্ষে আজগার আলী (৫৮) নামের আরো এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে। এ নিয়ে কাল বৈশাখীর ওই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাড়াল তিন। ও ঘটনায় আহত সুমন নামের আরো এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সুত্রে জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখীর ঝড়ে বেনাপোলের রঘুনাথপুর সড়কে একটি সরকারি গাছ উপড়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে রঘুনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন নাসু, গিয়াসউদ্দিন, ফুলউদ্দিন ও আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন ওই গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। তাতে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ তাদেরকে গাছ কাটার মজুরি নিয়ে গাছটি মসজিদে দিতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাসির উদ্দিন নাসুসহ অন্যান্যরা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল্লাহ মেম্বারকে ঘটনা স্থলেই মেরে ফেলে। কুপিয়ে আহত করে শামসুর রহমান বুদো, সুমন, নাজমুল, আব্দুল্লাহ, আজগার ও হাফিজুরকে। ওই দিনই যশোর ২৫০ শর্য্যা হাসপাতালে বুদো মারা যায়। সেদিন যশোর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজগার ও সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ৪ দিনের চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হওযায় এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আত্মীয়-স্বজনেরা সোমবার সকালে আজগারকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল। ঢাকা থেকে বাড়ী ফেরার পথে বিকাল ৫ টার সময় যশোরে এসে তিনি মারা যান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান আজগার আলী মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।