কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালবৈশাখী ঝড়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের একমাত্র টিনশেড ঘরটি গাছের চাপায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পাঠ গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা।সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে এ উপজেলায় প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৮ এপ্রিল বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার চর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের একমাত্র টিনশেড ঘরটি রেইন-ট্রি গাছের চাপায় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর ফলে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে সেখানে পাকা ভবন করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চরাঞ্চলের অবহেলিত জনগণের উচ্চশিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপীঠ চর আদর্শ কলেজ ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। ফলের দিক দিয়ে জেলায় কয়েকবার শ্রেষ্ঠ কলেজের মর্যাদাও লাভ করে। কিন্তু অদ্যাবধি সরকারি অর্থে কোনো ভবন নির্মিত হয়নি প্রতিষ্ঠানটিতে। ভবন নির্মাণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন করেও লাভ হয়নি। তিনি আরও বলেন, অতিসত্বর ভবন নির্মিত না হলে নতুন বছর শিক্ষার্থী ভর্তি হবে না। চলতি ২০১৫ সালে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৯৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। এছাড়াও ১৩২ শিক্ষার্থী এর মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ২২ জন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের ঘর ভেঙে পড়ে আছে।খোলা আকাশের নিচে দ্বাদশ শ্রেণীর কৃষিশিক্ষা বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছেন প্রভাষক মো.শফিকুল ইসলাম। কলেজের মানবিক শাখার ছাত্র মমিন ও আজিজুল হাকিম জানান, কলেজটির রেজাল্ট শুনে আমরা এখানে ভর্তি হই। প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাকা ভবনে পড়ালেখা করলেও কলেজে এসে খোলা আকাশের নিচে পড়তে হচ্ছে। এ বেদনা সীমাহীন। তারা অবিলম্বে কলেজে পাকা ভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি দাবি জানান। কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আরিফ রব্বানী বলেন, শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় ভালো রেজাল্ট করিয়েও বিল্ডিং হয় না অথচ কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য হলেও তাদের ভবনের অভাব নেই।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃসুবল চন্দ্র দাস