গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃগাইবান্ধার জেলায় বন বিভাগের আওতায় গৃহীত বনায়ন কর্মসূচীর ২টি প্রকল্পের প্রায় ৫ হাজার বৃক্ষ নির্ধন করেছে স্থানীয় বন দস্যুরা। কিন্তু নিধন করা বৃক্ষ উদ্ধার অভিযানে থানা পুলিশের কোন আন্তরিকতা নেই। থানায় এজাহার গৃহনেও অহেতুক গড়িমসি ও অনীহা প্রকাশ পাওায় প্রকল্প কমিটির কতিপয় সদস্য গাইবান্ধার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ মামলাটি আমলে নিয়ে বন দস্যুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নার আদেশ সাঘাটা থানায় প্রেরণ করলেও গত এক বছরেও তা কার্যকর হয়নি বলে বাদি পক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জও সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে নির্মিত বোনারপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ১ কিঃ মিঃ পাকা সড়কের দুই পার্শ্বে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের আওতায় বনায়ন কর্মসূচীর কতিপয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তার মধ্যে গত ২০১৩-২০১৪ আর্থিক বছরের শেষ পর্যায়ে কচুয়া ইউনিয়নের কাদের আলী দহ ও মানিকগঞ্জ নয়া বাজার এলাকায় গৃহীত ২টি বনায়ন প্রকল্পের প্রায় ৫ হাজার বৃক্ষ নিধন করে বনদস্যুরা এবং রাতের আধারে সেগুলো নিকটবর্তী ছ’মিল মালিক ও ইট ভাটা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় কয়েক লাখ টাকা।সুত্রের মতে, নিধনকৃত বৃক্ষ সম্পদের মধ্যে ১৪/১৫ বছর বয়সের ইউক্লেপটার্স মেহগনি, বকন ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য বৃক্ষ নিধন করে স্থানীয় বন দস্যুরা। এরা প্রকল্প কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের ছত্রছাঁয়ায় এই অপকর্ম চালিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রকল্প কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ক্ষিপ্ত হলেও সভাপতি আব্দুর রাজ্জার বন দস্যুদের পক্ষে অবস্থান গ্রহন। থানায় এজাহার গ্রহনের বাঁধা প্রধান ও পুলিশী অভিযান পরিচালনায় অনৈতিক প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত থাকেন। যার জের ধরে প্রকল্প কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সহ বনদস্যূদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ নিধন,আত্মসাৎ লুট পাটের অভিযোগ এনে বিজ্ঞ আদালতে মামলার সুত্রপাত ঘটে। এ মামলার আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরিত হলেও গত এক বছরেও পুলিশ তা কার্যকর করেনি।তবে লোক চক্ষুকে ধোকা দিতে সামান্য কয়েকটি বৃক্ষের গুল উদ্ধার দেখানো হলেও সংশ্লিষ্ট আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। থানা পুলিশের সাথে তাদের গোপন সত্যতা গড়ে ওঠার অভিযোগ তুলে ধরেন বাদি পক্ষ।এ দিকে বন বিভাগের গাইবান্ধা জেলা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা হওয়া ও গ্রেফতারি পরোয়নার আদেশ উপেক্ষা করে আসামিদের প্রকাশ্যে ঘুরেবেড়ানোর সখ্যতা স্বীকার করেন মাত্র।সাঘাটা থানার কর্তৃপক্ষ জানায় আসামিরা পালাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃআরিফ উদ্দিন