ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনকে আরও বোধগম্য ও সহজ করার পাশাপাশি প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখতে হবে।
ঢাকা শিল্প মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত দেন। কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর বিসিক শিল্পনগরে গত শনিবার ‘ভ্যাট প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম। যে কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। সে জন্য সরকারকে দাতা সংস্থা বা স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়। এতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যায়। সরকার ব্যাংকঋণ যত কম নেবে, বেসরকারি খাতে তত বেশি ঋণপ্রবাহ বাড়বে।
আবদুল মজিদ আরও বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভ্যাট আইনে ৮০ লাখ টাকার অধিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ও এসএমই খাতের জন্য ফ্ল্যাট ভ্যাট ১৫ শতাংশ রাখা যৌক্তিক হবে না।
ডিসিসিআই গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের যাতে ভ্যাট প্রদানে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে জন্য একটি সহজ ভ্যাট প্রদান পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জানান ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ।
কর্মশালায় এনবিআরের প্রথম সচিব (ভ্যাট) মো. আবদুর রউফ মূল প্রবন্ধে বলেন, ২৪ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ভ্যাট প্রদান করতে হবে না। ২৪ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হলে শুধু ৩% টার্নওভার ট্যাক্স দিলেই হবে।
ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. শোয়েব চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীরা কর ও ভ্যাট দেন, তাই তাঁদের প্রতি ভ্যাট কর্মকর্তাদের অবশ্যই সম্মান দেখানো উচিত।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ, ঢাকা শিল্পমালিক সমিতির সভাপতি হোসেন এ সিকদার, ডিসিসিআইয়ের সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি হায়দার আহমদ খান, বার্জার পেইন্টসের অর্থ ব্যবস্থাপক আবদুল খালেক ও বাংলাদেশ ইনডেনটিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এস সিদ্দিকী।