অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে রাতে দুই স্বজনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শিশুটি। কিন্তু তাকে রেহাই দেয়নি নরপশুর দল। স্বজনদের আহত করে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা, চালায় গণধর্ষণ। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ২টায় উদ্ধার করা হয় রক্তাক্ত অচেতন শিশুটিকে। সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার আশুতিয়াপাড়া হাসান আলীর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাড়ি পাশের তাড়াইল উপজেলায়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পরদিন বিক্ষোভ মিছিল ও ইউএনও অফিস ঘেরাও করে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার রাতে দুই আত্মীয়ের সঙ্গে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিকশায় ফেরার সময় আশুতিয়াপাড়া হাসান আলীর মোড়ে পাঁচ-ছয় যুবক তাদের গতিরোধ করে। দুই স্বজনকে তারা বেদম মারপিটে আহত করে ফেলে রেখে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাত ২টার দিকে রামনগর শাহ আলীর মাজারের কাছ থেকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, শিশুটির অবস্থা খারাপ। তার চিকিৎসা চলছে। করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. বজলুর রহমান জানান, ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আশুতিয়াপাড়া এলাকার সুমন নামে এক যুবকের কথা জানা গেছে। তাকেসহ জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।