রাজধানীর মুরগির আড়তগুলো থেকে দেদারসে মরা মুরগি চলে যাচ্ছে নগরীর বিভিন্ন হোটেল- রেস্তোরাঁয়। তেজগাঁও রেলস্টেশন-সংলগ্ন মুরগির আড়তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে সর্বনিম্ন দেড় লক্ষাধিক পর্যন্ত মুরগি প্রবেশ করে। প্রতি রাতে এ আড়তের তিনটি প্রবেশপথ দিয়ে যখন মুরগি বহনকারী একেকটি ট্রক প্রবেশ করে, তখন ওতপেতে থাকা একটি দুষ্টচক্র মরা মুরগিগুলো পোষা কুকুর বা চাষের মাছকে খাওয়ানোর কথা বলে বিনামূল্যে সগ্রহ করে। রাজধানীসহ তার আসেপাশের উপজেলা গুলোর বিভিন্ন ফাষ্টফুড, হোটেল এবং রেস্তোরার কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ওই চক্রের কাছ থেকে কম খরচে মরা মুরগি কেনে। এসকল মরা মুরগি গ্রীল চিকেন ও শর্মাতে দেদারসে ব্যবহার করছে। প্রতিদিন এসব মরা মুরগির গ্রিল চিকেন খাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডির একটি স্বনামধন্য রেষ্টুরেন্ট থেকে ৩০০ পিস মরা পঁচা মুরগিসহ হাতেনাতে ২ জনকে আটক করে র্যাব । এখবর জানার পর আমার চেষ্টাছিল মরামুরগি বিক্রির চক্রটির সাক্ষাত পাওয়ার কয়েকমাস ঘুরার পর অনেক কষ্টে বেশকিছুশর্তে সাক্ষাত পেলাম সেই মরামুরগি বিক্রির চক্রটির এক সদস্যের েতার প্রথমশর্তে নাম প্রকাশ না করা তবে তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়, সে যা জানাল,একটি সন্ত্রাসী মহল মরামুরগি বিক্রির চক্রটির চক্রটিকে এ কাজে সহযোগিতা করছে। কাওরান বাজার আড়তে প্রতিদিন এক থেকে দুই লাখ টাকার মরা মুরগি বিক্রি হয় এবং দেড় লক্ষাধিক মুরগির মধ্যে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ঢাকায় আসতে আসতেই মারা যায়। মরা মুরগি সংগ্রহের চক্রটি এগুলো তেজগাঁও আড়তের ভিতরে নিয়ে গিয়ে রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেটেকুটে বিক্রির জন্য পরিষ্কার করে। সকাল হলে এসব মরামুরগি বিভিন্ন হোটেলে চলেযায়। কোন কোন যায়গায় যায় এসব মুরগি জানতে চাইলে সে বলে কোথায় যায়না তাই বলুন । রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল তো আছেই তার পরও গাজীপুর,চন্দ্রা,সাভার,আশুলিয়া এসব মরা মুরগি যাচ্ছে প্রতিদিন।প্রতিটি মরা মুরগি ৪০ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। আজিজ নামের একজন বলেন, আমরা জীবনের তাগিদে সকালে বাসা থেকে বের হই অনেকেরই বাসার খাবার বহন করা সম্ভব না। তাই হোটেলে টাকা দিয়ে খেতে হয়। সেখানেও এমন দুর্নীতি কোথায় বাস করছি আমরা কি খাচ্ছি ।এসব অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করবে না প্রশাসন এমন প্রশ্ন এখন সাধানর মানুষের মুখে মুখে।