,রাজধানীতে যানজট নিরসনে গত শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে বহুল আলোচিত অটো সিগন্যাল বাতি পদ্ধতি। কিন্তু এটা কোন কাজে আসছে না। বরং যানজট ভয়াবহ রূপ লাভ করছে। শুক্রবার নগরীর কাকলী (বনানী) থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত ১১টি পয়েন্টে কার্যক্রম শুরু করে মহানগর পুলিশ। ছুটি হওয়ায় প্রথম দুইদিন শুক্র ও শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তবে গতকাল রবিবার অটো সিগন্যাল পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এটি পরীক্ষামূলক। গতকাল রবিবার সকালের দিকে কিছুটা কার্যকর ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে কয়েকটি পয়েন্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তিনি বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণ করছে সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সময় নির্ধারণ করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, এটি পরীক্ষামূলক তাই সফলতা সম্পর্কে আগাম কিছু বলা যাবে না।
বাংলামোটর মোড়ে দায়িত্বপালনকারী পুলিশের একজন ট্রাফিক সদস্য বলেন, এটি চার রাস্তার মোড়। এখানে কোন নিয়মই কাজে আসছে না। এক দিকে ছাড়ার পর দেখা যায় ঐ অংশে থাকা যানবাহনের একভাগও অতিক্রম করতে পারছে না। সিগন্যালের সময় সঠিকভাবে নির্ধারণ করা না হলে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এটি সিটি করপোরেশনের প্রকল্প। এ পর্যন্ত ৭০টি স্থাপন করা হলেও ফ্লাইওয়ারের কারণে আটটি অপসারিত হয়েছে। বর্তমানে ৬২টি কার্যকর রয়েছে। আরও ৩০টি স্থাপনের কাজ চলছে। এ প্রকল্প শেষ হবে ২০১৬ সালে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০০১-০২ অর্থবছরে ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩০টি এবং দক্ষিণে ৪০টি (মোট ৭০) স্থানে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অটো ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০০৪ সালের শেষ দিকে। সে বছরের ২২ নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে অটো সিগন্যাল (ডিজিটাল) চালু করা হয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশ সবুজ, হলুদ ও লাল বাতির মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। চালকদের মধ্যেও এ সিগন্যাল পদ্ধতি মানার অভ্যাস গড়ে উঠছিলো। কিন্তু কিছুদিন পর তা আবার শিথিল হয়ে যায়। রাজধানীর যানজট নিরসন পুরনো অবস্থায় ফিরে আসে।