কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসি দুলাল মিয়ার তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গ্রাম্য মাতব্বরা মেয়ের চাচাকে তিন লাখ টাকার প্রস্তাব দেয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর পিতা-মাতা উভয়ই সৌদি আরবে চলে যাওয়ায় ছাত্রীটি দুই চাচা মফিজ উদ্দিন ও বিল্লালের কাছে থেকে লেখাপড়া করছে। গত রোববার দুপুরে স্কুলছাত্রী তার বান্ধবীদের সাথে বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুরে গোসল করছিল। এ সময় পাশের বাড়ির আলাউদ্দিনও ওই পুকুরে গোসল করতে এসে কৌশলে ছাত্রীটিকে আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার ডাকচিৎকারে বান্ধবীরা এগিয়ে আসলে তাকে ফেলে রেখে ধর্ষক আলাউদ্দিন পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটির রক্তক্ষরণ হতে দেখে বান্ধবীরা পুকুরের পাশেই তার নানীর বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মেয়েটির চাচা বিল্লাল হোসেন তাকে মোটরসাইকেল যোগে পাকুন্দিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন রাতেই স্থানীয় মেম্বার মফিজুল হক মেনুর নেতৃত্বে গ্রাম্য মাতাব্বররা মেয়েটির চাচা মফিজ উদ্দিন ও বিল্লাল হোসেনকে আপোষের জন্য তিন লাখ টাকা প্রস্তাব দেয়। ধর্ষিতার দুই চাচা টাকা না নেয়াতে মাতাব্বররা তাদেরকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মানছুরুল হক বাবুল বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মিমাংসা করার আইনগত কোন এখতিয়ার নেই। মেম্বার মফিজুল হক মেনুকে আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে ধমকের সুরে বলেন, আমি তিন লাখ টাকা বা ১০ লাখ টাকা নিয়ে মিমাংসা করি তাতে আপনার কি এটা আমার ওয়ার্ডের ব্যাপার। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে ধর্ষিত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
প্রতিবেদকঃ সুবল চন্দ্র দাস