২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় সংসদে নতুন এ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এটি বাংলাদেশের ৪৪তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬তম বাজেট। একই সাথে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের নবম বাজেট এটি।
গত বছর বাজেট পেশের সময় আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা করেছিলেন, বাজেটে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আয়বৈষম্য কমিয়ে এনে জনগণকে দারিদ্র্যের বৃত্ত থেকে বের করার প্রক্রিয়া গতিশীল থাকবে। এ লক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রেখে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরে (২০১৪-১৫) লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও ৬.৫১ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অর্থনীতি বর্তমানে এমন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, যা বাইরের প্রতিঘাত সহ্য করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতাও সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করেছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি বাজেট ও আর্থিক নীতিমালায় বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ রেখেছেন। ইতিমধ্যে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ থেকে ৭.৩ ভাগ নির্ধারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন বাজেট প্রসঙ্গে আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও পরিবহণ খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে। তবে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে।
মুহিত বলেন, আসন্ন বাজেটে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মতো চলমান বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে। বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক নিরাপত্তাবলয় খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট ও আর্থিক নীতি অদূর ভবিষ্যতে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) ইতিমধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৯৭ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক কর্মসূচির চেয়ে ২৯.৩৩ ভাগ এবং মূল বাজেটের বার্ষিক কর্মসূচির তুলনায় ২০.৭৭ ভাগ বেশি।
গত অর্থবছরের মতো এবারো অর্থমন্ত্রী পাওয়ার পয়েন্টে বাজেট উপস্থাপন করবেন। শুক্রবার বিকাল চারটায় বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন অর্থমন্ত্রী।