কয়েক দফা মাইকিং করে সময় বেঁধে দেওয়ার পর অবশেষে চুয়াডাঙ্গা শহরের সড়কের দু,পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আবারও অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শহরের প্রান কেন্দ্র শহীদ হাসান চত্তর থেকে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের শুরুতেই শহরের শহীদ হাসান চত্তরের রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ও অবৈধ মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ওই এলাকার প্রায় ত্রিশটি দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়ার,কোট এলাকা,নতুন বাজারের সামনের সড়কের দু,ধারের আরও প্রায় চল্লিশটিরও বেশি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের দৌলতদিয়ার মুদি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অভিযান চলাকালীন সময়ে আমাদেরকে জিনিষ-পত্র সরিয়ে নেওয়ার কোনো সময় দেওয়া হয়নি। এ কারণে আমাদের দোকানের ভিতরে থাকা লাখ লাখ টাকার জিনিষ নষ্ট হয়ে যায়।
একই ধরনের অভিযোগ আরও অনেক ব্যাবসায়ীর। তারা অভিন্ন ভাষায় বলেন আমাদেরকে হয়তো একটু সময় দিলে এতো ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দফায় শহরে মাইকিং করে এ উচ্ছেদের বিষয়ে সবাইকে অবগত করা হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহেও মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের স্ব স্ব উদ্দ্যোগে দোকান পাট সরিয়ে নেওয়ার আহবান জানানো হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা খানম বলেন, আইনের যথাযথ নিয়ম কানুন মেনেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোনিয়া হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক বজলু সহ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ।