শার্শার পল্লীতে ভাইকে বেধে রেখে এক নারীকে(৪২) গণ ধর্ষণ করেছে পাষন্ডরা। এ ঘটনায় আজগার আলী নামে এক ধর্ষনকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আজগার আলী রুদ্রপুর গ্রামের জিয়াদ আলী গাজির ছেলে।
বুধবার(১০ জুন) রাত ৮ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত শার্শার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এনামুল হক জানান, ধর্ষনের শিকার বরিশালের বাকেরগঞ্জ এলাকার ওই নারীর ভাই শাহ আলমের সাথে শার্শার রুদ্রপুর এলাকার আজগারের পূর্ব পরিচয় ছিল। এই পরিচয়ের মাধ্যমে দু’পক্ষই অনেকবার দু’পক্ষের বাড়িতে যাতায়াত করেছে। এরই সুত্র ধরে আজগার গত সোমবার শাহ আলমকে ফোন করে জানায় শার্শায় ২০ টাকা দরে আম বিক্রী হচ্ছে। এখান থেকে আম নিয়ে বরিশালে বিক্রি করলে অনেক টাকা লাভ হবে।
এই সংবাদ পেয়ে শাহআলম তার বোনকে সাথে নিয়ে আম কেনা ও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বরিশাল থেকে বুধবার দুপুরে শার্শায় এসে পৌছায়। এসময় আজগার ও তার তিন বন্ধু মিলে শার্শা থেকে তাদেরকে সমাদর করে রুদ্রপুর এলাকায় নিয়ে যায়। গ্রামে নিয়ে তাদের কাছে টাকা পাবে দাবিতে ওই নারীর ভাইয়ের কাছে থাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা আদায় করেন। পরে সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় একটি মাছের ঘেরে নিয়ে গিয়ে ভাইকে বেঁধে রেখে তার সামনেই আজগারসহ বন্ধুরা বোনকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সকাল হলে তারা যেন আর এ এলাকায় না আসে সেজন্য হুমকি দিয়ে শার্শার জামতলা বাজারে নিয়ে বাসে উঠিয়ে দিতে আসে। জামতলা বাজারে এসে ওই নারী চিৎকার দিলে বাজারের লোকজন ছুটে এসে থানায় খবর দেয়। এ সময় পুলিশ গিয়ে ওই নারীসহ তার ভাইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে আসামী করে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৬। তাং-১১জুন-১৫। এ ঘটনায় সকাল ১০ টার সময় আজগারকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, ওই নারীসহ তার ভাইকে পুলিশের হেফাজতে যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসাবে আমি নিজেই দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আসামীদের বিরুদ্ধে উপর্যপরি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।