বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস দিয়ে ভারতীয় দুই যাত্রীর স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় অবশেষে চেকপোস্ট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ফরহাদ আল হাসানের বদলী হয়েছে। কাস্টমসে সুষ্ঠ পরিবেশ ফেরাতে বৃহস্পতিবার তার স্থানে নিয়োগ হয়েছে সহকারী কমিশনার মাহাবুব হাসানের। এর আগে তিনি বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস হাউজে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে যার রুমে বসে ভিআইপি মর্যাদা নিয়ে ওই দুই ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী কৌশলে ৪ কেজি ৬শ গ্রাম স্বর্ণ পাচার করে ভারতে পাড়ি জমায় সেই কাস্টমস সুপার উত্তম কুমারের ব্যাপারে এখনও কোন তদন্ত শুরু করেনি উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ। এতে ভোক্ষ প্রকাশ করেছেন ক্ষোদ কাস্টমসের একটি পক্ষ। উত্তম কুমার নিজেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তার দোহায় দিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি আমার আত্মীয় আমাকে বদলী করার ক্ষমতা বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাখেনা।
অণ্যদিকে স্বর্ণ পাচার নিয়ে কাস্টমসের দূর্বল নিরাপত্তা ও অকার্যকর স্কানিং মেশিং নিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও পিন্ট মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় তা বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে সুপার উত্তম কুমার সমদ্দার। সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীর মাধ্যমে গত দুদিন ধরে দেনদরবার শুরু করেছেন। ওই সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী সব সাংবাদিকদের ম্যানেজ করবে বলে সুপার উত্তম কুমারের কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে সুপারের রুমে বসে দির্ঘক্ষন শলা,পরামর্শ করতে দেখেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এদিকে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী পরিচয়দানকারী ওই সাংবাদিক যে পত্রিকায় লেখেন পত্রিকাটির একজন সিনিয়ার রিপোর্টার বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে স্বর্ণ পাচার ও যাত্রী হয়রানি নিয়ে সংশিষ্টদের সাথে কথা বলে গত ১৭ জুন, একটি অনুসন্ধ্যান মুলক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ওই সংবাদে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের বাস্তব চিত্র উঠে আসে। ওই সিনিয়ার সাংবাদিক লেখেন, কাস্টমস সুপার উত্তম কুমার পাসপোর্ট যাত্রীদের ভয়ভিতী দেখিয়ে ৫শ থেকে শুরু করে হাজার টাকা আদায় করছেন। আরো অনেক তথ্য। এর রিপোর্ট প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় কাস্টমসে। হঠাৎ করে পত্রিকাটির শার্শা প্রতিনিধি এই রিপোটের সুযোগ নিতে গোঁপনে চলে আসে কাস্টমস সুপার উত্তম কুমারের সাথে শলা পরামর্শ করে। সুপারকে জানায় সব সাংবাদিকদের ম্যানেজ করবে কিন্তু বাস্তবে সে ছাড়া অন্য কেউ ম্যানেজ কেউ। পরের দিন ১৮ জুন রিপোর্টের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে শার্শা প্রতিনিধি লেখেন, ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক যারা কাস্টমসে আত্মীয় স্বজনদের এড়িয়ে দিতে যায় তাদের আত্মীয়রাই স্বর্ণ পাচারকারী। এতে এই আপাদ মস্তক সাংবাদিকের উত্তম পন্থী হয়ে মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশে শুধু স্থানীয় ইলেকট্রিক ও পিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক না পত্রিকাটির ওই সিনিয়ার সাংবাদিকও ছোট হয়েছেন বলে ধারণা সাংবাদিকদের।