বড়রা মুখোমুখি। মুখোমুখি ছোটরাও। একই দিনে, প্রায় একই সময়ে। খেলা অবশ্য ভিন্ন। তাতে কী! মাশরাফি বিন মুর্তজা দল আজ যখন অসহায়ভাবে হারল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে, একই দিন মেহেদি হাসানের দল দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব ১৯ দলকেও হারিয়েছে একেবারে নাকানিচুবানি খাইয়ে। সাত ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছে ৮ উইকেটে।
গত বছর যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে ৬-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গিয়েছিল। বাংলাদেশের কন্ডিশনে পেরে ওঠেনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অচেনা কন্ডিশনে গিয়ে বাংলাদেশের যুবারা কিন্তু শুরুটা করল দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৮৪ রানে আটকে গিয়েছিল যুবা প্রোটিয়ারা। জবাবে বাংলাদেশের যুবদলের দুই ওপেনার মিলে তুলে ফেলেছিল ১৩৫ রান। জয়রাজ শেখ ৬০ আর পিনাক ঘোষ ৫০ রান করে ফিরলেও নাজমুল হোসেন আর মেহেদি হাসানের ২৮ রানের জুটি ৩২ বল বাকি থাকতেই দলকে নিয়ে গেছে জয়ের বন্দরে।
বল হাতে নায়ক পেসার আবদুল হালিম। মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক মেহেদিও তাঁর অফস্পিনে নাকাল করেছেন প্রোটিয়া তরুণদের। ২৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৭১ রানে প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলার পরও দক্ষিণ আফ্রিকা যুবদল যে শেষ পর্যন্ত আরও ১১৩ রান যোগ করতে পারল, তাতে কৃতিত্ব আছে তাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। তবে একদিকে হাল ধরে রেখেছিলেন পাঁচে নেমে শেষ ওভারে আউট হওয়া উইয়ান মালডার (৬২)।
লক্ষ্যটা ছোট ছিল বলেই দেখেশুনে খেলেছেন দুই ওপেনার। ৯৩ বলে ৬ চারে ৫০ করেছেন জয়রাজ। ১১৩ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৬০ করেছেন পিনাক। এই ম্যাচে একটাই আফসোস থাকতে পারে বাংলাদেশ দলের। বাকিদের ব্যাটিং অনুশীলনটা যে ঠিকমতো হলো না! যুব ওয়ানডে না হলে হয়তো স্বেচ্ছায় রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফতুল্লার অনুশীলন ম্যাচের একটা পাল্টা জবাবও তারা দিতে পারত!
মঙ্গলবার একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। একই দিন মাঠে নামছেন মাশরাফিরাও। ছোটদের কাছ থেকে চাইলে অনুপ্রেরণা তাঁরা নিতেই পারেন!