বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর সদরঘাটে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়; লঞ্চের ছাদে উঠে বাড়ির পথে রওয়ানা হন বহু মানুষ। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বিকালে সদরঘাটে পৌঁছান জয়নাল মিয়া।
যাত্রীদের ভিড়ে ভোগান্তি নিয়ে তিনি বলেন, “অফিস ছিল, কিন্তু বছরে একবার বাড়ি যাই তাই ছুটি নিয়ে চলে এসেছি। ভিড় এড়ানোর জন্য আধাবেলা ছুটি নিয়ে এসেছিলাম, এসে সেই ভিড়ের মধ্যেই পড়তে হল।”
এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক আবু কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মূলত গার্মেন্ট কারখানাগুলো ছুটি হয়ে যাওয়ার কারণেই এই ভিড়। আমরা খবর পেয়েছি ২টার দিকে গার্মেন্টগুলো ছুটি হয়ে গেছে; চাপ যা এসেছে তা এই কারণেই এবং এই চাপ আরও বাড়বে।”
আগের দিন লঞ্চের ছাদে যাত্রী না দেখা গেলেও এদিন অনেক লঞ্চের ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও প্রচুর মানুষ দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআইডব্লিউটিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, “যাত্রীরা কারও বাধা মানে না, একটু ফাঁক পেলেই পাশ দিয়ে উপরে (লঞ্চের ছাদ) উঠে যায়।”
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ৭৫টি লঞ্চ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র টিআই মো. সোলায়মান জানিয়েছেন।এদিন সদরঘাট থেকে যাত্রা করা লঞ্চের সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৫০টির মত লঞ্চ ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ’র এই কর্মকর্তা।
এদিকে দুপুরে ঘাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এমভি কর্ণফুলী লঞ্চকে ৪০ হাজার এবং এমভি ভোলাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন জানান।
এ বাহিনীর অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সদরঘাটে সার্বিক নিরাপত্তায় ১২৬ জন নৌ-পুলিশ নিয়োজিত আছে। এছাড়া ২৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ঘাট এলাকার উপর নজর রাখা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ঘাটে কোনো দুর্ঘটনা বা সমস্যার অভিযোগ পাননি বলে সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুস সালাম জানিয়েছেন।