আশপাশে যে খাবার আছে মশা কীভাবে বোঝে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মশার ঘ্রাণ ইন্দ্রিয় প্রখর। প্রায় ১০ থেকে পঞ্চাশ মিটার পর্যন্ত দূর থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড শনাক্ত করতে পারে মশারা। খাবারের উৎস টের পেয়ে তারা হুল ফোটাতে বা কামড়াতে ছুটে আসে।
গবেষকেরা বলেন, যতই কীটনাশক, সুগন্ধি বা মোমবাতি ব্যবহার করা হোক না কেন তবুও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না কারণ মশার দর্শন, ঘ্রাণ ও তাপ বোঝার সক্ষমতা আছে। তারা যেকোনো ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে খাবারের উৎস সম্পর্কে টের পায়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা যৌথভাবে মশা নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের দাবি, মশা যখন প্রখর ইন্দ্রিয় দিয়ে খাবারের ঘ্রাণ পায় তখন তারা দর্শন ইন্দ্রিয় ও অন্যান্য ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে কামড়াতে ছুটে আসে। ১০ থেকে পঞ্চাশ মিটার পর্যন্ত মশা শুধু কার্বন ডাইঅক্সাইডের ধোঁয়ার ঘ্রাণ পায়। এরপর যখন পাঁচ মিটারের কাছাকাছি আসে তখন খাবারের উত্সকে দেখতে পায়। এরপর আরও কাছে এসে শরীরের উত্তাপ বুঝে কামড় বসায়। এক মিটার দূর থেকেও শরীরের উত্তাপ টের পায় মশারা।
‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মশারা উষ্ণ বস্তু বেশি পছন্দ করে। গবেষকেরা বলেন, মশা কোথায় বসবে বা কী খেতে শুরু করবে সে সিদ্ধান্ত কীভাবে গ্রহণ করে এই বিষয়টির বিস্তারিত এত দিন খুব বেশি জানা ছিল না। এই গবেষণার ফলে আরও উন্নত মশার ফাঁদ তৈরিতে কাজে লাগানো যাবে।