জিসান আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার কাটাভাঙ্গা গ্রামে কে.ইউ.পি হামিদিয়া সিদ্দিকিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল হালিম লস্কর গায়ের জোরে মাদ্রাসা পরিচালনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল হালিম লস্কর সম্প্রতি মাদ্রাসার একটি মেহগনি গাছ ১৭হাজার ৪শত টাকায় বিক্রয় করে এবং মাদ্রাসার ১একর ৪৩শতক জমি নিজ ইচ্ছামতো লিজ প্রদান করে। চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য ২টন গম ও নগদ ৩০হাজার টাকা প্রদান করে। এ সমস্ত টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মসাত করার প্রমান পাওয়া গেছে। সরেজমিনে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে গেলে দেখা যায় মাদ্রাসা সুপার না থাকায় সহকারী সুপার আব্দুল হালিম ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথমে মুখ না খুলতে না চাইলেও পরে বলে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ সভাপতির কথামতো না বললে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। রেজুলেশন বহি দেখতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সুপার বলেন, রেজুলেশন বহিসহ মাদ্রাসার প্রয়োজনীয় অনেক খাতাপত্র তার নিজ বাড়ীতে রাখেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ম্যানিজিং কমিটির সদস্য মুনতাজ, মনোয়ার, জামাত আলী, একলাস উদ্দীন ও সোহরাব উদ্দীনের কাছে জানতে চাওয়া হলে এরা সবাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন, সভাপতি ছাড়াও কে.ইউ.পি মাদ্রাসার লম্পট শিক্ষক ইকতিয়ার হোসেন প¦ার্শবর্তী উদয়পুর গ্রামের আসাদুলের কন্যা চুমকিকে নানা প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন দেহভোগ করে। এব্যাপারে মাদ্রাসা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিস্কার করা হলেও মাদ্রাসা সভাপতি আব্দুল হালিম লস্কর কাউকে কিছু না জানিয়ে তাকে পুনরায় স্ব পদে বহাল রাখে। এব্যাপারে কমিটির সদস্যগন ও এলাকার সচেতন মহল উর্দ্ধতন মহল কর্তৃক তদন্তে মাধ্যমে মাদ্রাসার সুপরিবেশসহ দোষী সকল ব্যাক্তিদের শাস্কি দাবী করেন।