ট্রেন্টব্রিজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং-ধসের শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি রিকি পন্টিং। ১৩৮ বছরের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই গুটিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬০, সর্বোচ্চ সংগ্রহ, মি. এক্সট্রার! দ্বিতীয় ইনিংসেও ধুঁকে তৃতীয় দিনেই টেস্ট হারাটা এক প্রকার নিশ্চিতই অস্ট্রেলিয়ার। এমন বীভৎস পারফরম্যান্সের পর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল এই টেস্ট অধিনায়ক তীব্র সমালোচনায় বিঁধিয়েছেন ড্যারেন লেম্যানের শিষ্যদের। পন্টিং মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার এই দলটির অন্তত আটজন খেলোয়াড়ের টেস্ট খেলারই কোনো যোগ্যতা নেই।
খেলায় হার-জিত থাকতেই পারে। পরাজয়ে পন্টিংয়ের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পন্টিংয়ের সমস্যা অন্য জায়গায়। এবারের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার হারের ধরনটাই পীড়া দিচ্ছে পন্টিংকে। এই দলের অনেকেরই পথের শেষটাও অনুভব করছেন তিনি, ‘আমি নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দলটির অর্ধেকেরই অ্যাশেজের পর টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। এদের টেস্ট খেলার যোগ্যতাই প্রশ্নসাপেক্ষ।’
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টেস্ট দলটি সম্পর্কে নিজের মতামত তিনি তুলে ধরেছেন অকপটেই, ‘এদের খেলা দেখলেই বুঝবেন, দলটিতে কি হচ্ছে। আমরা ৬০ রানে অলআউট হয়ে গেলাম। একই উইকেটে ইংল্যান্ড ৩৯১ করে ইনিংস ঘোষণা করল। এর মানে কি! আমরা কেবল ব্যাটিংই নয়, বোলিংটাও করেছি যাচ্ছেতাই। দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে তাকান, পুরোপুরি ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে আমরা ২৪০ তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসলাম।’ দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অবশ্য প্রশংসাই পাচ্ছেন পন্টিংয়ের। তবে তিনি বিরক্ত এ দুজনের আউট হওয়ার ধরনে, ‘বলকে তাড়া না করেও খুব সহজেই খেলা যায়। এই ব্যাপারটাই ভুলে গিয়েছে অনেকেই।’
এবারের অ্যাশেজ সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়া মোটেও প্রস্তুত ছিল না—এ কথা সোজা-সাপটাই জানিয়েছেন পন্টিং। ট্রেন্টব্রিজের পর তাঁর কাছে অনেক খেলোয়াড়ের যোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ, ‘এই দলটি এ পর্যায়ের জন্য যথেষ্ট প্রতিভাধর নয়। এ ব্যাপারে যে যা-ই বলুক, যে অজুহাতই দিক, আমি তা গ্রহণ করব না।’