গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রাপ্তির পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। এছাড়া মন্ত্রণালয় বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত পত্রে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বর্তমান সভাপতি আবুল খায়ের মোরছেলীন পারভেজকে গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন প্রশাসক নিয়োগ করা হবেনা মর্মেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালকের প্রদত্ত উক্ত পত্রে গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বলা হয় চেম্বারের বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে নির্বাচনের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন বোর্ড ও আপীল বোর্ড গঠন করার কথা থাকলেও অথচ তা গঠন করা হয়েছে মাত্র ৫১ দিন আগে।
এছাড়াও অর্ডিনারী গ্র“প ও অ্যাসেসিয়েট গ্র“পে চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৭৯ জনের হালনাগাদ আয়কর বিবরণী নেই। ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্ত ৩১ জনের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকা, ৭৭ জনের ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, নির্বাচনের তপশীল নির্বাচনের ৮০ দিন পূর্বের স্থলে ৫১দিন পূর্বে প্রকাশ করা ইত্যাদি অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, চেম্বারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে অভিযোগ প্রাপ্তির পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিচালিত এক তদন্তে উল্লেখিত অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা প্রমাণিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরী ভিত্তিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিমিত্তে একটি পত্র প্রেরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংগঠনের পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত চেম্বার সভাপতিকে প্রদত্ত পত্র মোতাবেক চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত এবং কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আগামী ১১ আগষ্টের মধ্যে কারণ দর্শানোর সর্বশেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে জবাব না পাওয়া গেলে বাণিজ্য সংগঠন বিধি মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতান আলী মন্ডল চেম্বার কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়মের কারণে গত ২৬ জুলাই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর দিনই চেম্বারের পরিচালনা বোর্ডের এক সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়কে অব্যাহতি দিয়ে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ইকবালকে আহবায়ক এবং সদস্য হিসেবে সাংবাদিক আবেদুর রহমান স্বপন এবং অ্যাডভোকেট পিযুষ কান্তি বর্মণকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে চেম্বারের দুই গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।