এনায়েত মজুমদার,চাঁদপুর প্রতিনিধি-
চাঁদপুর জেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাশিয়ালী গ্রামের নিজ বাড়ীতে শরাফত উল্লা। নিজ বাড়িতেই তাকে হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে তালা লাগিয়ে রেখেছেন তার ছেলে মহসিন হোসেন। পরে অবশেষে শিকলবন্দী থেকে মুক্তি পেল শরাফত। ৯ দিন পর মুক্তির স্বাদ পেলো ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধ। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুনাহার ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবদিনের নির্দেশে শনিবার রাতে শরাফত উল্লাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই সময় শরাফত উল্লার সন্তান মহসিনকেও নিয়ে আসা হয়। তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
থানা হেফাজতে এসে শিকলবন্দী থেকে মুক্ত হওয়ার পর শরাফত উল্লা বলেন, আমি এখন অনেক ভালো আছি। অনেক দিন পর শিকল ও তালার বাঁধা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,‘পাগল’ সাব্যস্ত করে ৩১ জুলাই থেকে শরাফত উল্লাকে এভাবে গৃহবন্দী করে রেখেছেন তার ছেলে মহসিন হোসেন (৩৫)। ছেলের এই কর্মকান্ডে সম্মতি আছে মা মনোয়ারা বেগমের (৫০)।
মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই ইব্রাহিম জানায়, নির্দেশনা পেয়ে শাশিয়ালী গ্রাম থেকে শরাফত উল্লাকে শিকলবন্দী থেকে মুক্ত করে থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছি।
উপজেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কামরুল হাসান সউদ বলেন, প্রশাসন ও পুলিশ উদ্যোগী হওয়ায় শরাফত উল্লা শিকলবন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে।
শরাফত উল্লার ছয় ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মহসিন পঞ্চম। বাকি ছেলেরা ঢাকায় থাকেন। ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।