দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল এর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলা পর্যন্ত তাদেরকে আদালতের এজলাসকক্ষে থাকার সাজা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত রোববার রুলের শুনানির পর আজ রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ২৯শে জুলাই স্বপ্রনোদিত হয়ে জনকন্ঠ সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আপিল বিভাগ।
‘পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে ১৬ই জুলাই জনকণ্ঠ পত্রিকায় উপ-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। যার লেখক ছিলেন স্বদেশ রায়।
ওই উপসম্পাদকীয় প্রকাশের ব্যাখ্যা চেয়ে ২৯শে জুলাই সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও কলাম লেখক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার রুল জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল।বিভাগ।
৯ আগষ্ট রুল শুনানির প্রথম দিনে ৪ বিচারপতি থাকলেও দ্বিতীয় দিনে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে।
ওই আদালতের নির্দেশে এটর্নি জেনারেল স্বদেশ রায়ের নিবন্ধ পড়ে শোনান।
এর এক জায়গায় বলা হয়েছে, বিচারকদের একজনের সঙ্গে দেখা করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা। তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? কেনো শেখ হাসিনার সরকারকে কোনো কোনো বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়?