টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতের তীব্রতা বাড়ছে। ফলে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের ৩ গ্রামে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
জেলায় ফুলছড়ি উপজেলায় নদীভাঙনের শিকার হয়ে সাত দিনে ৩৫টি পরিবার তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
এ ছাড়া আরও অর্ধশতাধিক বসতবাড়িসহ রতনপুর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে কয়েকশ একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত, করতোয়া, ঘাঘট, তিস্তা ও যমুনার পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নিচু এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, পুকুর ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভাঙনের বিষয়ে উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরকার জানান, পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে তার ইউনিয়নের কালাসোনা, রতনপুর ও উত্তর উড়িয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙনের আশঙ্কায় ৩৫ পরিবার তাদের বসতভিটে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি জানান, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রক্ষা করা কঠিন হবে। ভাঙন ঠেকাতে এখনই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভাঙনের হাত থেকে বাঁধটি রক্ষা করতে না পারলে বাঁধের পশ্চিম পাড়ের কয়েকশ একর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যাবে।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, ভাঙনের কবল থেকে বসতবাড়ি ও ফসল রক্ষার্থে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ৩ গ্রামের ভাঙন পয়েন্টগুলো চিহ্নত ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কাজ করছেন। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হবে।