জিসান আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে
চুয়াডাঙ্গায় দু’জন চিকিৎসকের নামে
হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ডা.
সেলিমা আক্তার সিমু ও ডা. পারভীন
ইয়াসমিন। তারা দুজনই চুয়াডাঙ্গার
দর্শনার মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড
নার্সিং হোমে চিকিৎসক হিসেবে
কর্মরত আছেন।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে এ মামলা দায়ের করা
হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা
উপজেলার দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল
পাড়ার আনোয়ার হোসেন খানের
ছেলে রাজিব আহমেদ খান হিরন এ
মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২১
মার্চ বাদীর স্ত্রী সালমা আখতারের
গর্ভে থাকা সন্তান প্রসব করানোর জন্য
মুক্তি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।
বাদীর স্ত্রী প্রসব যন্ত্রায় ছটফট করার
সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদ্বয় প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা না নিয়ে কালক্ষেপণ করেন
এবং বলেন, গর্ভের বাচ্চা এখনো পুষ্ট
নয়। অথচ, বাদীর স্ত্রী তখন প্রসব বেদনায়
ছটফট করছেন।
এ অবস্থায় বাদী ও বাদীর স্ত্রীর সঙ্গে
ডাক্তারদের কথা কাটাকাটিও হয়।
ফলে, মামলার আসামিদ্বয় একাধিক
ইনজেকশন বাদীর স্ত্রীর শরীরে পুশ
করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে,
ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভের সন্তানকে মেরে
ফেলার জন্যই ওই চিকিৎসকদ্বয় একাধিক
ইনজেকশন দেন ও প্রেশারের ১০টি ওষুধ
খাওয়ান। আদালতের বিচারক সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল
হালিম বাদীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ
করেছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী
এডভোকেট শামিম রেজা ডালিম
বলেন, মামলায় বাদীর জবানবন্দি
লিপিবদ্ধ করার পর পরবর্তী আদেশের
জন্য রাখা হয়েছে। এ কখনো পর্যন্ত ওই
আদেশ ঘোষণা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলার আসামি ডা.
পারভীন ইয়াসমিন জানান, গর্ভের
বাচ্চা তখন আট মাসের। ভর্তি হওয়ার
পরদিন আমরা ওই রোগিকে পরীক্ষা
নিরীক্ষা করে বাচ্চা পুষ্ট না হওয়ায়
তাকে ছেড়ে দিই। দু’দিন পর ওই রোগি।
আবারও আমাদের কাছে আসেন। এবারও
আমরা তাকে পরীক্ষা করে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে
যেতে পরামর্শ দিই। তারপর তারা
এখান থেকে চলে গেছে। তারপর তারা
এখান থেকে চলে গেছেন। বাচ্চা
মারা গেছে আরো পরে।