সংবাদদাতা আমতলী ।।
বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সোনাকাটা ইকোপার্কের কুমির প্রজনন কেন্দ্রের কুমির “সখিনা” মা হতে পারছে না। এখন আর কুমিরটি আগের মত ডিমগুলো পর্যবেক্ষন করছে না। কাছেও যাচ্ছে না। ডিমের গায়ের সাদা রং বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারনা ওই ডিম থেকে বাচ্চা হবে না। বন বিভাগ কর্মকর্তা সূত্রে জানাগেছে, ইকো-ট্যুরিজম সুযোগ বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অধিনে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সখিনা বিটে ২০১১-১২ অর্থবছরে একটি ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেংরাগিরি বনাঞ্চলের অভয়ারণ্যে ৮টি হরিণ, ২৪টি শুকর, ৮টি চিতাবাঘ, দু′টি বিশাল অজগর এবং দু′টি সজারু ছাড়া হয়। সেই সঙ্গে ওইখানে একটি কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রজনন কেন্দ্রে তিনটি কুমির ছাড়া হয়েছে। কুমির তিনটির নাম দেওয়া হয়- টেংরা, গিরি ও সখিনা। এর মধ্যে ২০১৩ সালে টেংরা মারা যায়। জীবিত আছে গিরি ও সখিনা। এ বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে কুমির সখিনা পুকুরের প্রাচীরের নিকটে একটি ডুমুর গাছের নিচে ২৫/৩০ টি ডিম দেয়। ওই সময় ডিমগুলোর চার দিকে কুমিরটিকে ঘুরতে দেখা যায়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এ ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফোটার আশা করেছিল। কিন্তু আগষ্ট মাসের শেষ দিকে কুমিরটি আর ডিমের চারদিকে ঘুরছে না এবং ডিমগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। শুরুতে ডিমের প্রতি যেভাবে আকর্ষণ ছিল এখন আর সেই রকম আকর্ষণ নেই। এ ছাড়া ওই সময়
হিপ পদ্ধতিতে ৭ টি ডিম রাখা হয়েছিল। ওই ডিমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ থেকে বন কর্মকর্তাদের ধারনা কুমির সখিনা মা হতে পারছে না। করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের কুমির বিশেষজ্ঞ জাকির হোসেন বলেন, প্রথম বারের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ডিমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।সোনকাটা বিট কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার জানান হিপ পদ্ধতিতে বাচ্চা ফোটানের জন্য ৭ টি ডিম রাখা হয়েছিল তা আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান শুরুতে ডিমের প্রতি কুমিরের যে আকর্ষণ ছিল এখন আর সেই রকম নেই। কুমিরটি ডিমের কাছে যাচ্ছে না।