কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার শহরের ডায়বেটিকস পয়েন্টে মোজাফ্ফর আহমদ নামের এক টমটম (ইজি বাইক) চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে মামলার এজাহারভূক্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মো: জসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রামু রশিদনগর পূর্ব খাদেমের পাড়া এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ (২৩), খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া শান্তিবাজার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. তৌহিদ (২০), চকরিয়া বদরখালী সাতগলিয়া পাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (২২) ও রশিদনগর পূর্ব খাদেমের পাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে জসিম উদ্দিন (২১)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এই ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর পর পুলিশ কৌশলে প্রেমের ফাঁদে পেলে একজনকে গ্রেফতার করে গত দু’দিন আগে। তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ছিনতাইকৃত টমটমের বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, টমটম চালক মোজাফ্ফরকে জবাই করে হত্যার ঘটনা তারা স্বীকার করেছেন। টমটম ছিনতাইয়ের উদ্দ্যোশে মোজাফ্ফরকে তারা গলাকেটে হত্যা করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা সংবদ্ধ হয়ে টমটম ছিনতাই করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এমনকি গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার টমটম ছিনতাইকারী বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী দাবি করেন, ‘মুঠোফোনে কললিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ খুনের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন কয়েকজনের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদের মধ্য থেকে সন্দেহভাজন মো: জসিমকে এক নারীর মাধ্যমে মুঠোফোনের প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। ওই নারীর সাথে দেখা করতে এসেই জসিম ধরা পড়ে। পরে অন্যদের ধরা হয়। বর্তমানে ঘটনার সাথে জড়িত অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট দিবাগত রাত ১টার দিকে টমটম চালক মোজাফ্ফর আহমদের গলাকাটা মৃতদেহ কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিকস পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মোজাফ্ফর রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদিঘি গ্রামের মৃত জহির আহম্মদের পুত্র বলে জানা গেছে। ওইসময় মৃতদেহের পাশে ৩টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, নগদ কিছু টাকা ও একটি পটেটো চিপসের খোলা প্যাকেট পাওয়া যায়।