কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কটিয়াদীতে পারিবারিক শত্র“তার জের ধরে পাশাপাশি বাড়ির দুই গ্র“পের মাঝে সংঘর্ষে নবী হোসেন (৪০) নামক এক ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট/১৫ সকাল অনুমান ০৯.০০ টায় নিহত নবী হোসেনের সহোদর ভাই আঃ আলী উপজেলার আচমিতা বাজারে জসিম উদ্দিনের দোকানে নাস্তা করতে থাকাবস্থায় প্রতিপক্ষের কামরুল ইসলাম (২৫) গং দলবল নিয়ে আচমিতা বাজারে আঃ আলীর উপর হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের লোকজন আঃ আলীকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মাথা, পাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। আহত অবস্থায় আঃ আলীকে কটিয়াদী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলে প্রতিপক্ষের ভয়ে আঃ আলী উপজেলা হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরদিন ২৬ আগস্ট সকাল বেলা বড় ভাই নবী হোসেন আঃ আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে রওনা হলে ঐদিন সকাল ১০.০০ টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার পূর্ব চারিপাড়া গ্রামে সিন্ধু মিয়ার বাড়ির নিকট পৌছলে প্রতিপক্ষের কামরুল ইসলাম সহ কয়েকজনের একটি দল আঃ আলী ও নবী হোসেনকে রাস্তায় আক্রমণ করে নবী হোসেন ও আঃ আলীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। স্থানীয় লোকজন উভয় আহতকে প্রথমে কটিয়াদী হাসপাতালে নিয়া আসলে নবী হোসেন এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পর গত শুক্রবার নবী হোসেনকে ঢাকা থেকে ফেরত এনে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার দুপুর ১২.০০ টায় নবী হোসেন জখম জনিত কারণে মারা যায়। এই ঘটনায় নিহত নবী হোসেন এর ভাতিজি জুয়েনা বাদী হয়ে গত ০৪ সেপ্টেম্বর কটিয়াদী থানায় একটি মারামারির অভিযোগ করে। মামলা নং-১(৯)১৫। নিহত নবী হোসেন এর ভাই আঃ আলী জানায় তার বড় ভাই নবী হোসেন হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসী চক্রের আরো লোকজন জড়িত রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশোধনী এজাহার দায়ের করার কথা জানান তিনি। এই ব্যাপারে কটিয়াদী থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করার সকল প্রস্তুতি অব্যাহত আছে। তবে মারামারি মামলার আহত নবী হোসেন মারা যাওয়ায় খুনের ধারা সংযোজন করার পক্রিয়া চলছে।