রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোরবানির পশু বেচাকেনা করা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঢাকায় কোরবানির পশুর হাটের বিষয়ে পুলিশ হয়তো সব সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। তবে শুভ সূচনা করতে চায়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। মহানগরে ঈদুল আযহার নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয় তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরে ২৩টি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দক্ষিণ ও ৭টি উত্তর সিটি কর্পোরেশনে। বাকি ৬টি ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে। এই স্থানগুলোর বাইরে কোনো হাট বসতে দেয়া হবে না।
রাজধানীতে পশুর হাটের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এমন নির্দেশ থাকলেও প্রতিবারই তা অমান্য করে সড়কে পশুর হাট বসে। এসব হাট বসা বন্ধ করা আসলেই সম্ভব কী-না, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারব না। তবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ঢাকায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। গরুর চাহিদা অনেক বেশি। বাস্তবতার কারণে অনেকসময় সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। তবে বছরের পর বছর এভাবে চলতে পারে না। তাই এবার আমরা শুভ সূচনা করতে চাই। আর এর জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
হাটের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও র্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে তারা কাজ শুরু করবে। প্রতিটি হাটে সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। হাটের আশপাশের ব্যাংকগুলোকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা জানান কমিশনার।