রাজধানীতে যেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছে।আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এ মৌসুমে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত এক হাজার ৩০০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ দিয়েছে এসব তথ্য।
রাজধানীর বড় ৪০টি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য সরকারকে দেওয়া হচ্ছে। যে চারজন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন, তাঁদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও তিনজন বেসরকারি ক্লিনিকে মারা যান।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এ সময়ে জ্বর বা গায়ে ব্যথা হলে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখা উচিত। সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর তেমন মারাত্মক রোগ নয়। মৃত্যুহার ১ শতাংশেরও কম।
তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম প্রাণঘাতী হতে পারে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর যখন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের প্রমাণ মেলে (যেমন মাড়ি বা নাক থেকে রক্তক্ষরণ, মলের সঙ্গে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি) তখন একে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়। অধিক রক্তক্ষরণের ফলে শরীরের জলীয় উপাদান কমে যায়। এতে রক্তচাপ কমে। এটাই ডেঙ্গু শক সিনড্রোম।
এদিকে ডেঙ্গু নিয়েন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করেছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এ কাজে সহযোগিতা দিচ্ছে।