বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সদরঘাটে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। কমলাপুর স্টেশনে ভিড় বাড়লেও ঈদের আগের থৈ থৈ চেহারা এখনো পায়নি।
এবার ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। তিন দিনের ঈদের ছুটির আগে বৃহস্পতিবারই শেষ কর্ম দিবস। এ কারণে বিকেলে অফিস ছুটির পর ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকবে সবচেয়ে বেশি।
অবশ্য ঈদের আগে অনেকে ছুটি নেওয়ায় এবং পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে কর্মীদের ছুটি দেওয়ায় মঙ্গলবার থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
ব্যাংক কর্মকর্তা আল আমিন বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাঁদপুরের লঞ্চ ধরেছেন।
সদরঘাট টার্মিনালে একগাল হেসে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই দিন সরকারি ছুটি বাদ গেল, একদিন অগ্রিম ছুটি নিতে বাড়ি যাচ্ছি।”
বেসরকারি হাসপাতালের চাকুরে মাহমুদুল হাসান ঈদ করতে যাচ্ছেন বরিশালে। তিনিও একদিন বাড়তি ছুটি নিয়েছেন বলে জানালেন।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) সৈয়দ মাহফুজুর রহমান বলেন, “বুধবার ভোরে খুব ভিড় ছিল। তবে ১০টার দিকে ভিড় কিছুটা কমে আসে। বিকেলের দিকে আবার বাড়ব্। তখন বহু মানুষ ঢাকা ছাড়বে।”
সকাল ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ২০টি লঞ্চ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। মঙ্গলবার সারাদিনে গেছে ১১০টি লঞ্চ।
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে নৌপুলিশ টার্মিনালে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে। হাত মাইকে ঘোষণা দিয়ে জানানো হচ্ছে কোন জেলার লঞ্চ কোন পন্টুনে।
নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. মোখলেছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সদরঘাটে মোট ১৩টি পন্টুন। যাত্রীরা তাদের লঞ্চ কোথায় বুঝতে না পেরে এক পন্টুনে এসে ভিড় করে।
নৌ পুলিশের শতাধিক সদস্য পর্যায়ক্রমে সদরঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তিনি।
সকালে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে স্বাভাবিক ভিড় দেখা যায়। তবে কিছু যাত্রীকে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে চড়ে রওনা হতে দেখা যায় বিমানবন্দর স্টেশনে।
রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা দেরি করলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত আরও ১৯টি ট্রেন মোটামুটি ঠিক সময়েই কমলাপুর ছেড়ে গেছে।
স্টেশন মাস্টার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “অতিরিক্ত চাপের কারণে একটি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে।”
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালের ভাগে মোটামুটি স্বস্তি নিয়েই ট্রেনে চড়ে যাত্রা শুরু করতে পেরেছেন তারা।