সৌদি আরবে হজ পালনের সময় পদদলিত হয়ে অন্তত ৭১৭ হাজি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌদি সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ । এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৮৬৩। এদিকে পদদলিতের ঘটনায় এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সৌদি সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এক টুইটবার্তায় জানায়, ইতোমধ্যে ৪ হাজার উদ্ধারকর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক উদ্ধার ইউনিট কাজ করছে। আহতদেরকে নিকটস্থ চারটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহতরা বিভিন্ন দেশের বলেও ওই টুইটবার্তায় জানানো হয়। তবে এই দুর্ঘটনার মূল কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি তারা।
এর আগে অন্য টুইট বার্তায় জানানো হয়, মক্কা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে মিনায় ঐ দুর্ঘটনায় ৪০০ মানুষ আহত হয়। উদ্ধার অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান আল-জাজিরা টিভির প্রতিবেদক ওমর আসালেহ। তিনি বলেন, ‘এটা একদমই প্রাথমিক ধারণা। এর আগে ক্রেন দুর্ঘটনায় ১০৭জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক আহত হয়। সেই স্থানটি এখন একটি বড় কন্সট্রাকশন সাইটে পরিণত হয়েছে।
এবার মিনার স্ট্রিট ২০৪ এ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো। হজ এর শেষ মুহূর্তে এখানেই থাকে লাখ লাখ হাজি। মিনা থেকে জামারতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় রাস্তাই হচ্ছে এই স্ট্রিট ২০৪। এখান থেকে যাওয়ার পথেই মূলত শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারে হাজিরা।
এদিকে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ গণমাধ্যমকে বলেন, হজে পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি না তার খোঁজ-খবর নিতে সৌদি দূতাবাসের প্রথম সচিবকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিস্তারিত জানতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
সৌদিতে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকের পাতায় বলেছেন, ‘মিনা হাসপাতালে অবস্থান করা আমাদের এক কর্মকর্তার মতে, মৃতদেহগুলো হাসপাতালে আনা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দেওয়া মাত্রই আমরা স্বজনদের তা জানাব।
মিনাতে বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হটলাইন নাম্বার হচ্ছে: +৯৬৬৫৩৭৩৭৫৮৫৯ এবং +৯৬৬৫০৯৩৬০০৮২।’