ঈদের অনুষ্ঠান, ঈদের দিনের পরিকল্পনা, অ্যালবাম, পরিচালনা এসব নিয়েই স্বদেশ নিউজ ২৪ ডটকম-এর সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় আরজে ওয়ালিদ আহমেদ।
ঈদের দিনটি কেমন কাটালেন?
এবার তো কোরবানির ঈদ। গরু কোরবানি দিলাম। ঈদের দিন সকালে গোসল করে বড়দের সালাম করলাম। তারপর কোরবানির পর্ব শুরু হলো। সারা সকাল মাংস কাটাকাটিতে সবাইকে সাহায্য করলাম। কাছের মানুষগুলোর সাথে সময় কাটানোর অনুভূতিই অন্যরকম। সন্ধ্যার পর সবার সাথে আড্ডা আর হইচই করেই কেটে গেছে দিনটা। এছাড়াও সুযোগ পেয়ে ঘুমিয়েছি অনেকটা সময় জুড়ে।
ঈদে কোনো রেডিও প্রোগ্রাম করেছেন কি?
হ্যাঁ, ঈদের আগের রাতে “পবিত্র সুর” নামে একটা রেডিও প্রোগ্রাম করলাম। এতে কোরবানি সম্পর্কে-ই মূলত আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও ঈদের বিশেষ রেডিও নাটক “বউ ছিনতাই”-এ কাজ করেছি। নাটকটি প্রচার হচ্ছে এশিয়ান রেডিও ৯০.৮ এফ.এম.-এ ঈদের দিন রাত ১০টায় । আর লাইভ প্রোগ্রাম তো থাকছেই।
রেডিও নাটক “বউ ছিনতাই” করতে গিয়ে কেমন উপভোগ করলেন?
নাটক করতে গিয়ে খুবই মজা হয়েছে। এখানে এতো মজার মজার চরিত্র আছে যে না হেসে পারা যায় না। নাটকে আমরা যারা কাজ করেছি পুরো সময়টাই মজা করে কেটেছে ।
আর অন্য অনুষ্ঠান গুলো?
অন্য অনুষ্ঠানও খুবই ভালো চলছে।রেডিও প্রোগ্রাম গুলোতে বন্ধুদের এস.এম.এস. পড়ে আর তাদের পছন্দের গান বাজিয়ে সময়টা বেশ ভালোই কেটে যায়। আর তাদের সাথে আড্ডাটাও খুব জমে ওঠে।এশিয়ান রেডিও ৯০.৮ এফ.এম.- এ ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত থাকছি “মামা শো”-তে এবং ঈদের পঞ্চম দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকছি সেলিব্রেটি শো “ঈদ স্পেশাল মিউজিক্যাল লাইভ” নিয়ে।
আপনার একক অ্যালবাম “জিততে চাইনি”-এর খবর কি?
হ্যাঁ, অ্যালবামের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভিন্ন স্বাদের কিছু গান নিয়ে সাজিয়েছি অ্যালবামটি। অ্যালবামের সবগুলো গানে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সংগীত পরিচালক সজীব দাস। আর সবগুলো গানের রেকর্ডিং হয়েছে স্টুডিও এস.এম.এস.-এ। প্রতিটি গান একটি অন্যটি থেকে একেবারেই আলাদা। খুব শীঘ্রই শ্রোতা বন্ধুরা পেয়ে যাবে অ্যালবামটি।
আপনার অ্যালবাম “মেঘ হয়ে আসোনা”, “জেগে ওঠো”, “অপ্সরী”-এর পর “জিততে চাইনি” করছেন। এত দীর্ঘ বিরতীর কারণ কি?
শ্রোতাদেরকে ভালো কাজ উপহার দিতে চাই। তাই একটু সময় নিয়ে যত্ন করে গানগুলো করার চেষ্টা করেছি।
আমরা শুনেছি “জিততে চাইনি” অ্যালবামে আপনার লেখা গানও আছে? আপনার লেখালেখি সম্পর্কে বলুন…
ঠিকই শুনেছেন। এই অ্যালবামের বেশ কয়েকটি গান আমার লেখা। সুহৃদ সুফিয়ান, আরজে রাজু, রাকিব হাসান রাহুল, মাসুদ আহমেদ-এর লেখা গানও আছে এতে। আসলে ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি করে আসছি। ধীরে ধীরে আবিষ্কার করলাম মনের অনুভূতি গুলো একটু সাজিয়ে নিলেই তা কবিতা হয়ে যাচ্ছে, আর তাতে সুর বসালেই হয়ে যাচ্ছে গান।
আপনার মিউজিক ভিডিও পরিচালনার ব্যস্ততা কেমন?
এই মুহূর্তে বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওর কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এছাড়াও আমার নিজের অ্যালবামের তিনটি গানের মিউজিক ভিডিওর কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্রই মিউজিক ভিডিও গুলো প্রকাশ করা হবে।
পরিচালক, লেখক, গায়ক, আরজে:এতো কাজ একসাথে সমন্বয় করেন কিভাবে?
মনের প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি আর শ্রম দিয়ে চেষ্টা করি সমন্বয় করে নেয়ার। রেডিও-তে কাজ করি ভালোলাগা থেকে, গান গাওয়া-লেখালেখি আসে আমার অনুভূতি থেকে, আর পরিচালনার কাজ হচ্ছে আমার প্রাণ।