আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার গোঘাট, কামারজানি, গিদারি, মালিবাড়ি ও সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়ায় নদী ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে বৃহস্পতিবার কামারজানি থেকে ঘাঘট ব্রহ্মপুত্র নদী পথে গাইবান্ধা উপজেলা শহরের নিজ ব্রীজ রোডে নদী ঘাট পর্যন্ত একটি নৌকা র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব এলাকার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও জেলা শহরের নদীঘাটে মানববন্ধন কর্মসূচী পালনের লক্ষ্যে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ৭টি নৌকা বোঝাই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ এই নৌকা র্যালীতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত উলে¬খ্য যে, সরকারি উদ্যোগে বালাসীঘাটের উত্তর পার্শ্বে ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন ভাঙন প্রতিরোধের কাজ সম্পন্ন হলেও তীব্র ভাঙন কবলিত উলে¬খিত এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে কোন কাজ করা হয় নাই। ফলে গোঘাট গ্রাম গত সপ্তাহ থেকে ব্যাপক নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ইতোপূর্বে ৩শ’ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং ভাঙনের তীব্রতা অব্যাহত আছে। শুধু তাই নয়, নদী ভাঙন ক্রমান্বয়ে কামারজানি বন্দরের দিকে এগিয়ে আসছে।
অথচ জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হয়, দ্রুত আরও শত শত পরিবার, ঐতিহ্যবাহী কামারজানি বন্দর, গোঘাট গ্রামসহ সোনালী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, এনজিও প্রতিষ্ঠান, স্কুল, ডাকঘর, ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ওয়াপদা বেরী বাঁধ, রেগুলেটরগেট, হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি বে-সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে নৌকা মিছিলটি ঘাঘট নদীর ঘাটে এসে পৌছার সঙ্গে সঙ্গেই ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায় এবং নদী ঘাটের জটলা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, তিনি জেলা প্রশাসকের একটি ম্যাসেজ নদী ভাঙন কবলিত র্যালীতে আসা লোকজনদের জানাতে নদী ঘাটে আসেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে আশ্বস্ত করেছেন যে, ওইসব এলাকার ভাঙন প্রতিরোধ কল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বৃহস্পতিবার বিকেলেই সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ কথা জানানোর পর র্যালীতে আসা ভাঙন কবলিত মানুষ আশ্বস্ত হন এবং তারা ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।