আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা জেলা সদর থেকে ফুলছড়ি উপজেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত কালিরবাজারে স্থানান্তরের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে বিচারপ্রার্থী সর্বস্তরের মানুষ ন্যায় বিচার, যাতায়াত, নিরাপত্তা সমস্যাসহ নানা ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগের কবলে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বার্থান্বেষী মহল ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ কল্পে জনস্বার্থবিরোধী এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা বার এসোসিয়েশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্সের, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম লাছু, সিরাজুল ইসলাম বাবু, ওবায়দুর রহমান, আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু, পিপি শফিকুল ইসলাম, শামসুল আলম প্রধান, সিদ্দিক হোসেন সেলিম, পরেশ চন্দ্র বর্মণ, জাহিদ হোসেন, রাজেন্দ্রনাথ বর্মণ, ছামিউল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত উলে¬খ্য যে, প্রস্তাবিত কালিরবাজারে বিচারিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য কোন অবকাঠামো নেই। সেজন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ে আদালত পরিচালনা করতে হবে। এতে ব্যক্তি বা মহল বিশেষে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলই শুধু হবে। এদিকে কোন হাজতখানা না থাকায় প্রতিদিন গাইবান্ধা থেকে আসামিদের আনা-নেয়া করাও বেশ ঝুকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল হবে। তদুপরি সেখানকার দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা বেশ নগন্য, যা সদর সংলগ্ন আরেকটি আদালত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে একেবারে সংগতিপূর্ণ নয়। বর্তমানে আদালত স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কালিরবাজারে করা সম্ভব নয় বলে বিচারপ্রার্থী জনগণ প্রতিনিয়তই স্থানীয় টাউট-বাটপারদের দ্বারা হয়রানী ও হেনস্তা শিকার হবে। তাছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের অবৈধ প্রভাব সুষ্ঠ বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।
সর্বোপরি ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কালিরবাজারে পৌছানোর চেয়ে ওই এলাকাগুলো থেকে গাইবান্ধা সদরে পৌছানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। অথচ ফুলছড়ি উপজেলার বিচারপ্রার্থী জনগণ অতিসহজেই যানবাহন প্রাপ্তির সাপেক্ষে স্বল্পতম সময়ে কালিরবাজারে পৌছানোর চেয়ে গাইবান্ধা জেলা শহরেই স্বল্প ব্যয়ে এবং দ্রুত যাতায়াত করতে পারেন।