সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জবাসীর। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, নিজ দলের নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ তার নানা আচরণে। তার নানা অপকর্ম আর স্বেচ্ছাচারিতার অবসান চান সুন্দরগঞ্জবাসী।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর শিবিরের ক্যাডাররা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পাশাপাশি চার পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের আওয়ামী লীগ কর্মী বানিয়ে তাদের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ ও তাদের পুনর্বাসনে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বামনডাঙ্গায় যাত্রা ও হাউজির প্যান্ডেল ভাঙতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করা সহ অভিযোগের শেষ নেই এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।
তার নানা অনিয়মের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেন, খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছে যা অত্যন্ত দু:খজনক।’
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ লজ্জা শুধু আওয়ামীলীগের নয়, পুরো দেশবাসীর।’
সবশেষ গত শুক্রবার ভোরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন শিশু সৌরভকে গুলি করলে গোটা উপজেলা জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনায় সংসদ সদস্য লিটনকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি সাধারণ মানুষের।
সৌজন্যে: সময় টিভি