গন ধর্ষনের মামলা করাতে এসে নিজেই ফেঁসে গেল আম্বিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধু। তার বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে। তার স্বামীর নাম আবুল হোসেন।
বুধবার রাতে শিপন ঢালীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী শাহিনুর বেগমকে দিয়ে একটি সাজানো গণ ধর্ষণ মামলা করাতে আমতলী থানায় নিয়ে আসেন আম্বিয়া খাতুন ও তার স্বামী আবুল হোসেন।
শাহিনুর বেগম জানান, তারা গাজীপুর বাজারে আবুল হোসেনের ঘরে ভাড়া থাকতেন। তার ঘর মালিক আবুল হোসেন এর সাথে একই এলাকার হিরন গাজী, রুবেল গাজী ও বাদশা মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে তাদের হয়রানি করার জন্য আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন শাহিনুর বেগমকে ফুসলিয়ে রাজি করান তাদের বিরুদ্ধে গনধর্ষন মামলা করাতে। শাহিনুর বেগমকে তারা শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়ে আসেন যে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হিরন গাজী, রুবেল গাজী ও বাদশা মিয়া জোড় পুর্বক তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে গণধর্ষণ করেছে বলে জবানবন্দি দিতে। এভাবেই ঘটনা সাজিয়ে শাহিনুর বেগমকে দিয়ে গনধর্ষন মামলা করাতে তাকে নিয়ে আমতলী থানায় আসেন আবুলের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই শাহিনুর বেগম সাংবাদিকদের জানান, আম্বিয়া খাতুন এর কথা অনুসারে সাজানো গণধর্ষণ মামলা দায়ের করতে থানায় এসেছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন, কর্মকর্তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাবাদের মুখে গৃহবধু শাহিনুর বেগম গনধর্ষনের সাজানো ঘটনা ফাঁস করে দেন। তিনি আরও জানান, শাহিনুর বেগমকে তার শ্বশুর ইউনুছ ঢালির জিম্বায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আম্বিয়া খাতুন ও তার স্বামী আবুল হোসেনকে অপর একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারনার জন্য আম্বিয়া খাতুনের নামে সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত আম্বিয়া খাতুন বলেন, শাহিনুর বেগমকে মঙ্গলবার রাতে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে সাহযোগিতা করার জন্য তার কথা অনুসারে মামলা দায়ের করতে থানায় আসি। থানায় এসে শাহিনুর বেগম উল্টো কথা বলায় এখন আমি নিজেই ফেঁসে গেছি।