জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। এরই মধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। অ্যালবামের বাইরেও নিয়মিত প্লেব্যাক করছেন এ তারকা। পাশাপাশি জিঙ্গেল ও ভয়েসওভারের কাজ করছেন প্রায় প্রতিদিন। এছাড়া শো নিয়েও যারপরনাই ব্যস্ত কনা। মাঝে-মধ্যে উপস্থাপনাও করে থাকেন। এ শিল্পী যে ক্ষেত্রটিতেই কাজ করেছেন, তাতেই সফলতা পেয়েছেন। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা, নতুন গান ও সংগীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন কনা। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কেমন আছেন? কেমন কাটছে দিনকাল?
খুব ভালো আছি। দিনকাল খুব ভালো কাটছে। প্রতিদিন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। আমি এই ব্যস্ততাটা উপভোগ করি।
ব্যস্ততা কি নিয়ে?
ব্যস্ততা পুরোপুরি গান নিয়ে। আগামীকালই একটি কনসার্ট আছে সোনারগাঁ হোটেলে। এতক্ষণ সেটার জন্যই প্র্যাকটিস করেছি। এছাড়াও কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ততা অনেক। পাশাপাশি সপ্তাহে পাঁচটা কি সাতটা করে ভয়েসওভারের কাজ করছি। আর জিঙ্গেলতো রয়েছেই। সামনেই অস্ট্রেলিয়ায় শো রয়েছে। ভিসা হয়ে গেলেই হয়তো যাবো সেখানে।
জিঙ্গেল ও ভয়েসওভারের এত কাজ করছেন। এগুলো কেমন উপভোগ করছেন?
অনেক উপভোগ করি। কারণ গানটাতো আমি শিখে এসেছি। তাই এটা আমার কাছে ততটা কঠিন না। জিঙ্গেল অনেক করেছি। এখন ভয়েসওভারের কাজ বেশি করছি। বিজ্ঞাপনে নিজের কন্ঠ শুনতে খুব ভালো লাগে। এমনও হয় যে টিভি সেটের সামনে বসে আছি, আমার ভয়েস ওভারের বিজ্ঞাপন ১২ থেকে ১৩ টা চলে যাচ্ছে টানা! এটা খুব ভালো লাগে। এর মাধ্যমে গানের বাইরেও আমার কথা বলার কন্ঠটাও সবার খুব পরিচিত হয়ে গেছে।
নতুন গানের কি খবর?
বেশ সময় নিয়ে গান করছি। এরই মধ্যে ছয়টি গানের কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে বাপ্পা মজুমদার, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, মুন ও কলকাতার আকাশ সেন গানগুলো তৈরি করেছেন। তবে অ্যালবাম আকারে গানগুলো প্রকাশ করবো কিনা বলতে পারছি না। কারণ পুরো অ্যালবাম এখন আর কেউ শোনে না। তাই ঠিক করেছি সিঙ্গেল আকারেই গানগুলো প্রকাশ করবো। আগামী দুই মাসে হয়তো দুটি ভিডিওর কাজ করবো।
প্লেব্যাক করছেন নিয়মিত?
নিয়মিতই প্লেব্যাক করছি। তবে একটু বেছে বেছে কাজ করছি এখন।
আপনার দৃষ্টিতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন?
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি আসলে এখন আগের মত নেই। গান প্রকাশের পন্থাও বদলে গেছে। শোনার পাশাপাশি গান এখন দেখার বিষয়েও পরিণত হয়েছে। টেকনোলজির দিক দিয়ে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। অনেকেই বলে থাকেন এখন ভালো গান হচ্ছে না। ২০ কিংবা ৩০ বছর আগেও কিন্তু সব ধরনের গানই হতো। তার মধ্যে থেকে আমরা ভালো গানগুলোই শুধু এখনও শুনছি। ঠিক তেমনি ২০ বছর পর আসলে এখনকার গানগুলোর টিকে থাকার বিষয়টি নির্ণয় করা যাবে। আমি মনে করি এখনও ভালো গান হচ্ছে। আর সেই গানগুলোই কেবল টিকে থাকবে।
আপনার পরবর্তীতে যারা সংগীতে এসেছে তারা কেমন করছে বলে মনে হয়?
অনেক ভালো করছে নতুনরা। অনেকের মধ্যে অনেক মেধা ও সম্ভাবনা দেখতে পাই। তবে নতুনদের সময় দিতে হবে। প্রথম দিকেই হয়তো কিছু ভুল ক্রুটি থাকবে। আমি যখন প্রথম একক অ্যালবাম ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’ প্রকাশ করেছিলাম তখন আমারও ভুল ক্রুটি ছিলো। পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে একটু সময় লাগেই।