বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মত দুইজন নারী শিক্ষানবিশ পাইলট বুধবার ঢাকার তেজগাঁওস্থ আর্মি এভিয়েশন গ্রুপে সফলভাবে একক ও দ্বৈত উড্ডয়ন পরিচালনা করেন। ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার সেসনা ১৫২ এ্যারোপেক প্রশিক্ষণ বিমানের মাধ্যমে উড্ডয়ন পরিচানা করেন। ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ২০০৯ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ৬১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের সকল আবশ্যক কোর্সের শেষে গত ২০১৪ সালের ১৬ই নভেম্বর আর্মি এভিয়েশন বেসিক কোর্স-৯ এ যোগদান করেন তিনি। গত ১৮ই জুন ২০১৫ তারিখে তার উড্ডয়ন দক্ষতা প্রমাণ করতে প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন নাজিয়া। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার গত ২০০৯ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ৬১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। অর্ডিন্যান্স কোরের সকল আবশ্যক কোর্সের শেষে গত ২০১৪ সালের ১৬ই নভেম্বর তিনিও আর্মি এভিয়েশন বেসিক কোর্স-৯ এ যোগদান করেন। গত ২০১৫ সালের ৩০শে জুন প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন তিনি । আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবারের মত নারী পাইলট সংযোজন এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। সেনাবাহিনীর দুই নারী পাইলট বাংলাদেশের নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে মনে করেন তারা। প্রসঙ্গত, আর্মি এভিয়েশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বহু সেনা পাইলটকে প্রশিক্ষিত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থাটি। এতদিন এখানে শুধুমাত্র পুরুষ পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো। গত ২০১৪ সালের ১৬ই নভেম্বর থেকে প্রথমবারের মত প্রতিষ্ঠানটিতে দুইজন নারী পাইলটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়।