জীবন থাকলে স্ট্রেস থাকবেই। আর এর মাঝে বড় পরিমাণের স্ট্রেস আসে কর্মক্ষেত্র থেকে। এটা যে শুধু আপনাকে শারীরিক ও মানসিক চাপে রাখে তাই নয়, বরং আপনার আয়ুও কমিয়ে দিতে পারে কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেস। আমেরিকার ওপর ভিত্তি করে করা দুইটি গবেষণার তথ্য থেকে এমনটা জানায় বিজনেস ইনসাইডার।
অফিসে যারা কাজ করেন, যেমন প্রফেশনাল, ম্যানেজারিয়াল অথবা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ করে যারা, তাদেরকে বলা হয় হোয়াইট কলার ওয়ার্কার। আর যারা সাধারণত কায়িক পরিশ্রমের কাজগুলো করেন, যেমন কন্সট্রাকশন, মেকানিক্যাল ইত্যাদি, তাদেরকে বলা হয় ব্লু কলার ওয়ার্কার। নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, ব্লু কলারের চাইতে হোয়াইট কলার ওয়ার্কারের আয়ু বেশি হয়ে থাকে।
আরেকটি গবেষণা বলছে, বেশি বেতনের মানুষের চাইতে কম বেতনের মানুষের আয়ু কম হয়। কী কারণে এই ব্যাপারগুলো দেখা যায়? আপনার কাজের ওপর ভিত্তি করে কী আপনার আয়ু বাড়ে বা কমে? এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আবার দেখা যায় আরেকটি গবেষণা।
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে এবং আমেরিকান কমিউনিটি সার্ভে থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে তাদের গবেষণায়। কর্মক্ষেত্রের ঝুকিপুর্ণ পরিবেশের প্রভাব আয়ুর ওপরে কতোটা পড়ে তা এখানে দেখা হয়। গবেহসনায় পাওয়া তথ্যগুলো এমন-
– কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকলে কর্মীদের আয়ু কম হবার সম্ভাবনা থাকে
– শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলে আয়ু কম হয় আরো বেশি
– এক্ষেত্রে জাতিগত একটা বিভেদ দেখা যায়
– কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেসের প্রভাবে সাদা চামড়ার মানুষের আয়ু কমে সবচাইতে বেশি
– যারা জীবনের কোনো এক সময়ে বেকার সময় কাটিয়েছে তাদের আয়ু কম হতে দেখা যায়
– যাদের হেলথ ইনস্যুরেন্স নেই তাদেরও আয়ু কম হতে দেখা যায়
গবেষণায় বলে হয়, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর করে তোলাটা জরুরী। এসব গবেষণা আমেরিকায় সংঘটিত হলেও বাংলাদেশের জন্যও এই ব্যাপারটা সত্যি কিনা তা চিন্তা করে দেখা প্রয়োজন। স্ট্রেস যে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তা তো আমরা জানিই। আমাদের নিজেদের কিছু অভ্যাসই এর জন্য হতে পারে দায়ী। জেনে নিতে পারেন স্ট্রেস কমানোর কিছু উপায় এখানে।