পেট ফাঁপা থাকলে শুধু দেখতেই খারাপ লাগেনা, বরং শারীরিক ভাবেও অসুবিধার সৃষ্টি হয়। আপনার অতিরিক্ত ফ্যাটের কারণে পেট মোটা হয়ে যাওয়ার কথা বলছিনা, আমরা বলছি অস্থায়ী ভাবে পেট ফুলে যাওয়ার কথা যা প্রায় সব মানুষেরই কোন না কোন সময়ে হয়ে থাকে। মায়ো ক্লিনিক এর গবেষক Michael Jensen বলেন, “যদি আপনার পাকস্থলীর ফুলে থাকাটা কোন শারীরিক সমস্যা যেমন- যকৃত বা হৃদপিণ্ডের সমস্যার জন্য না হয়, তাহলে সেটা আপনার অন্ত্রের গ্যাসের জন্যই হয়ে থাকে।” কী কারণে এই গ্যাসের সৃষ্টি হয় জানা প্রয়োজন। ভালো খবর হল বিশেষজ্ঞের মতে পাকস্থলীর এই ফেঁপে থাকা খুব সহজেই দূর করা যায়। আসুন জেনে নিই সেই উপায় গুলো।
১। পানি পান করুন
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা ও মায়েরা কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন বেশি এবং পেট ফেঁপে থাকার সমস্যাতেও ভোগে থাকেন। বেশি করে পানি খেলে শরীরের বর্জ্য পদার্থ গুলো বের হয়ে যাবে,পেট ফাঁপা ভাব ও দূর হবে এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য ভালো হবে। যে খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে সেই খাবার গুলো বেশি খেতে হবে। ফল ও শাক-সব্জিতে ৮০-৯০% পানি থাকে। এর জন্য কমলা ও তরমুজ হল আদর্শ ফল।
২। অনেক বেশি আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের বিপাক ভালো হয়, ফলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয় ও পেট ফাঁপা ও ভালো হয়।প্রত্যেক মহিলার প্রতিদিন ২৫ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করা প্রয়োজন, যদিও বেশির ভাগ মহিলাই এর অর্ধেক পরিমাণ গ্রহণ করেন। যদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে আপনি অভ্যস্ত না হন তা হলে আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ হঠাৎ করে ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খেলে পেট ফাঁপা আগের চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। জাম জাতীয় ফল , আভোকাডো, হোল গ্রেইন ইত্যাদি খান।
৩। গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার বাদ দিন
এমন কিছু খাবার আছে যারা গ্যাস উৎপন্ন করে, যেমন – ব্রোকলি, শিমের বীচি, নাশপাতি, পেঁয়াজ এবং কার্বোনেটেড ড্রিঙ্ক ইত্যাদি। এই খাবার গুলো খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।এছাড়া দুধ জাতীয় খাবারেও অনেকের পেটে গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে। তাই দুধ,আইসক্রিম, দই, পনির ইত্যাদি খাবার কম খেতে হবে বা একেবারে বাদ দিতে হবে।
৪। এক্সসারসাইজ করুন
প্রতিদিন ১০ মিনিট হাঁটলেও পেটফাঁপা ভাব কমে যাবে। এক্সারসাইজ করলে খাদ্য নালী দিয়ে সহজে গ্যাস বের হয়ে যায়।
টিপস-