একজন টিভি নাটকের অভিনেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হলেও অভিনয়ের হাতে খড়িটা মঞ্চেই সাজু খাদেমের। সেই টানে যখনই মঞ্চের কোন নতুন কাজ সামনে আসে কাজ করতে দ্বিধা করেন না তিনি। আর তাই আগামী ১৭ই নভেম্বর এ অভিনেতাকে দেখা যাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। নাগরিক নাট্যাঙ্গনের হয়ে এবার তিনি অভিনয় করবেন পুনঃকথা ‘গওহর বাদশা ও বানেছা পরী’ নাটকে। তবে সাজু একা নন। তার সঙ্গে আছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হকও। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটকটির নিদের্শক হিসেবে থাকছেন হৃদি। ব্যক্তিজীবনে সাজু তার ছোটবোন প্রৈতী হকের স্বামী। তবে আত্মীয়তার আগে থেকেই হৃদি ও সাজু নাগরিক নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে হৃদিকে নাটক লেখা ও নির্মাণেই বেশি দেখা যায়। তবে সাজু বরাবরের মতো টিভি নাটকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ মুহূর্তে একাধিক ধারাবাহিকের শুটিংয়ে নিয়মিত সময় দিচ্ছেন তিনি। এর বেশিরভাগই বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলছে। যেসব নাটকে সাজু এ মুহূর্তে ব্যস্ত আছেন সেগুলো হলো- ‘কলিং বেল’, ‘সহযাত্রী’, ‘ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অলসপুর’, ‘ঘোড়ার চাল আড়াই ঘর’সহ আরও কয়েকটি। এছাড়াও আজ নির্মাতা অঞ্জন আইচের একটি খণ্ড নাটকের শুটিং করবেন সাজু। মঞ্চ নাটকে অভিনয় করা ও টিভি মাধ্যমে ব্যস্ততা প্রসঙ্গে সাজু বলেন, এর আগে যে মঞ্চায়নটি হয়েছিল সেটি ছিল লোকগাঁথা। এবার নতুন করে আবার হচ্ছে বলে এর নাম দেয়া হয়েছে পুনঃগাঁথা। খুবই দারুণ একটি গল্প। অভিনয়ের পাশাপাশি এর মঞ্চসজ্জার কাজও আমি করেছি। আশা করছি সবাই উপভোগ করবেন। আর টিভি নাটকে তো নিয়মিত কাজ করছি। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারও হচ্ছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি কাজ নিয়ে দর্শকের কাছে প্রশংসা পেয়ে আসছি। সেটি নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে যে ভালোবাসা দর্শক আমাকে দিয়েছেন সেটা যেন সবসময় ধরে রাখতে পারি এ কামনাই করি।