সমাজের অবক্ষয়ের কারণে ঐশী তার মা-বাবাকে হত্যা করেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার ফাঁসির রায় কার্যকর হলে সমাজে অবক্ষয়ের প্রবণতা কমে আসবে। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন। সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র আয়োজিত ‘বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ: স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য-২০৩০’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য ড. রুস্তম আলী ফরাজী। সুপ্র’র নির্বাহী বোর্ড সদস্য আবদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি, জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাসের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, সেলিনা জাহান লিটা, নাভানা আক্তার ও বেগম কামরুন নাহার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বৃটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ প্রকল্পের টিম-লিডার ক্যাথেরিন সিসিল, উন্নয়ন ধারার সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সুপ্র’র জাতীয় পরিষদ সদস্য শামীমা আক্তার মুনমুন, ডেইজি আহমেদ, মঞ্জুরাণী প্রামাণিক ও ললিত সি. চাকমা, সুপ্র’র সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সুপ্র’র পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ। মাহবুব আরা বেগম গিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের উপর জোর দিতে হবে। রাজস্ব আদায় স্বচ্ছভাবে করা গেলে সব দরিদ্রকে ভর্তুকি দেয়াও সম্ভব। সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সকলের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করাটা জরুরি। নাজমুল হক প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আবহ অনেক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে যা নারীর স্বাধীনতার পক্ষে প্রভাব ফেলছে। এসডিজি’র লক্ষ্য ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার ও নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। বেগম সেলিনা জাহান লিটা বলেন, বাজেটের পরিকল্পনা যদি তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে হয় তবে সেটা হবে সকলের বাজেট। যার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে আলোচিত দুই শিশু হত্যা মামলার রায় ও ঐশীর ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করতে হবে। নাভানা আক্তার বলেন, আমরা এমডিজি অর্জনে সফলতা পেয়েছি। অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করা গেলে এসডিজি’র বাস্তবায়নও অসম্ভব নয়। তৃণমূল প্রশাসনকে আরও বেশি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। শিক্ষায় কোচিং বন্ধে শুধু সরকার নয় শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। সভাপতির বক্তব্যে ড. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি বলেন, সকল শ্রেণী পেশা ও প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করা উচিত কেননা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন পাহাড়ী, চরবাসীসহ সবাই দেশের একটা অংশ। আমরা আশাবাদী বাজেট একদিন গণমুখী হবে, সবার অংশগ্রহণেই হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।