প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন-২০১৫ রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রণয়নকৃত অধিকার সুরক্ষা আইন ও পলিসির প্রয়োগ, মনিটরিং নিশ্চিত করা এবং সংসদে জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষণ করাসহ সাতটি সুপারিশ করেছেন অংশগ্রহণকারী বক্তারা। গতকাল দিনব্যাপী বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির (বিপিকেএস) উদ্যোগে এ সম্মেলনের আযোজন করা হয়। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু অধিকারকে স্বীকৃতিদানে নীতিনির্ধারক, সুশীলসমাজকে সচেতন করে তোলাই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
সম্মেলনে সংস্থাটির নেতারা বলেন, বিপিকেএস প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আন্দোলনের নেতৃত্ব অব্যাহত রেখেছে। সার্বিক পরিবর্তনের জন্য সব পেশাজীবীকে উৎসাহিত করে থাকে। বিপিকেএস জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ, প্রতিবন্ধিতা জাতীয় নীতিমালা ১৯৯৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জাতীয় পরিকল্পনা ১৯৯৬ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইন-২০১৩-এর আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারভিত্তিক আন্দোলনের নেতৃত্বদান অব্যাহত রেখেছে। এর অব্যাহত কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন বলে তারা উল্লেখ করেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তাবিত সুপারিশমালা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রণয়নকৃত অধিকার সুরক্ষা আইন ও পলিসির প্রয়োগ, মনিটরিং নিশ্চিত করা, তাদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ, প্রযোজনীয় বাজেট বরাদ্দ করা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করা, নাগরিক মর্যাদার স্বীকৃতি প্রদান, রিজনেবল একোমোডেশন ও প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষণ করার সুপারিশ করনে অংশগ্রহণকারীরা।
বিপিকেএসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ইউনেসক্যাপ ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন এমপি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আতিয়ার রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান।