রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ ইসলামপন্থী সন্ত্রাস অস্বীকার করছে বলে মন্তব্য করেছন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা হক বন্যা। বাংলাদেশী-আমেরিকান এই লেখিকা বলেন, ”বাংলাদেশে যে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসের উত্থান হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ সরকার সেটি অস্বীকার করছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার সহযোগি ধর্মীয় গ্রুপগুলোকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না।” যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলে দ্যা টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে। ও্রই অনুষ্ঠানে রাফিদা বন্যা আহমেদ বলেন, ”বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার মানুষের উপর হামলা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ এসব ঘটনার কোন বিচার হয় না। বাংলাদেশে ইসলামী উগ্রপন্থার নামে প্রতিমাসেই একেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এখন তারা (উগ্রপন্থীরা) বিদেশী কর্মী আর ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপরও হামলা শুরু করেছে।” বাংলাদেশের বিতর্কিত তথ্য ও টেলিযোগাযোগ আইনটি (আইসিটি আইন) বাতিল করার জন্য সুপারিশ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ওই আইনের কারণে অনেক লেখক ও ব্লগার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এক হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রাফিদা বন্যা আহমেদ । সেই হামলায় তার স্বামী লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন। গত নয়মাসেই এরকম হামলায় পাঁচজন লেখক-ব্লগার নিহত হয়েছেন। হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি উল্লেখ করে বন্যা জানান, তাদের উপর হামলার পর বাংলাদেশ সরকার তাক্ষৎণিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। পরে উল্টো ব্লগারদের ধর্ম লেখালেখিতে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতেও পরামর্শ দিয়েছে। তবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনের উপ প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ বিরোধী জোটের পেট্টোল বোমা হামলায় অনেক হতাহতের তথ্য জানালেও, লেখকের রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেননি। তবে, ল্যান্টোস কমিশনের উপ প্রধান, ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান জিম ম্যাকগর্ভান বলছেন, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট আর আল কায়েদার অস্তিত্ব রয়েছে যা দেশটির গণতন্ত্র আর স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।