জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে তার সরকারের “জিরো টলারেন্স” নীতির কথাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। ‘কমনওয়েলথ উন্নয়ন মূল্যবোধ’ শীর্ষক বৈশ্বিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ-এর আওতায় ‘সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ’-এর আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় ফিরেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- গত ২৭ থেকে ২৯শে নভেম্বর মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটায় কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের ২৪তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়বস্তু ছিল ‘কমনওয়েলথ: বৈশ্বিক মূল্যবোধ’। এই শীর্ষ সম্মেলনে কমনওয়েলথের রাজনৈতিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কমনওয়েলথ উন্নয়ন মূল্যবোধ যথা টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০, টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন, অভিবাসন; বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যথা জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদসহ কমনওয়েলথের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় ও এর কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। এ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ৩১ জন রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করেন। শীর্ষ সম্মেলনের অব্যবহিত পূর্বে কমনওয়েলথ পররাষ্ট্র্রমন্ত্রীগণের দু’দিনব্যাপী প্রাক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ দলিল যথা কমনওয়েলথ ইশতেহার, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে কমনওয়েলথ নেতাদের বিবৃতি এবং সরকার প্রধানদের বিবৃতি গৃহীত হয়। সেখানে প্যারিসস্থ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানগণ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত একটি শক্তিশালী যৌথ ঘোষণা চূড়ান্ত করা হয়। সম্মেলনে ডমিনিকান রিপাবলিকের নাগরিক ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডকে কমনওয়েলথের নতুন মহাসচিব হিসেবে পরবর্তী চার বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আগামী এপ্রিলে তিনি বর্তমান মহাসচিব কমলেশ শর্মার স্থলাভিষিক্ত হবেন।