সিঙ্গেল মুরিং টার্মিনালসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭ হাজার ২৭৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১,৯১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হবে ৪,৭৫৫ লাখ টাকা। গতকাল এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আযম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪,৯৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা; পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ১,৪২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা; চট্টগ্রাম, মংলা, আইসিডি কমলাপুর এবং বেনাপোল কাস্টম হাউজের জন্য কন্টেইনার স্ক্যানার ক্রয় প্রকল্প, এর ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা; বাকেরগঞ্জ-পাদ্রীশিবপুর-কাঠলতলি-সুবিদখালী-বরগুনা সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা; বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সড়ক প্রশস্তকরণসহ উন্নয়ন ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৮৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ২৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা; স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্প, এর ব্যয় ১৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা; সমন্বিত কৃষি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি টাকা; সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়ন প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা; পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ভোট গ্রহণের পাশাপাশি উন্নয়নও চলবে: উন্নয়ন বন্ধ রেখে নির্বাচন নয়। নির্বাচন একটি চলমান প্রকল্প। সারা বছরই নির্বাচন হয়। তাই বলে দেশের উন্নয়ন বন্ধ রাখা যাবে না। নির্বাচনও চলবে উন্নয়নও চলবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে ৭ই ডিসেম্বর সোমবার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে পৌর এলাকায় রাজস্ব বা উন্নয়ন তালিকাভুক্ত প্রকল্প অনুমোদন স্থগিত রাখার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী- নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসব প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় করতে পারবে না। প্রকল্প স্থগিত রাখতে নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরেও একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় যে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে এগুলো কোনো সুনির্দিষ্ট পৌরসভার জন্য নয়। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো সব জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্প। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এর পরেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। সারা দেশেইতো ইউনিয়ন পরিষদ আছে, তাই বলে কি উন্নয়ন থেমে থাকবে? ভোটের পাশাপাশি উন্নয়নও চলবে বলে জানান তিনি।