হেঁটে এমনকি বাসে চড়ে কর্মস্থলে যেতে প্রস্তুত ভারতের বিচারপতিরা। যদি এতে পরিবেশ দূষণ কমে তবে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের শহরের জন্য এতটুকু আমরা করতেই পারি। এমন মন্তব্য ভারতের নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু। পরিবেশ দূষণ নিয়ে পর্যুদস্ত দিল্লি রাজ্য সরকার প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারে। কেননা, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের নেয়া জোড়-বিজোড় ফর্মুলার প্রতিই তিনি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। পরিবেশ দূষণ রোধে কেজরিওয়াল সরকার সপ্তাহের কিছু দিন জোড় সংখ্যার নম্বরপ্লেটের গাড়ি, বাকি দিন বিজোড় সংখ্যার নম্বরপ্লেটের গাড়ি চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতামতের মধ্যেই সমর্থন ঘোষণা করলেন খোদ প্রধান বিচারপতি। তিনি আরও একধাপ বাড়িয়ে বলেন, বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে প্রয়োজনে বাস নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, এ শহরটির জন্য ন্যূনতম এতটুকু আমরা করতেই পারি। জোড়-বিজোড় ফর্মুলা নিয়ে বিচারপতিদের কোন সমস্যা নেই। প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্যে কেজরিওয়াল যে কিছুটা হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন, তা লুকানোর চেষ্টা করেন নি তিনি। এক টুইটে তিনি প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যদি ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে সাধারণ গাড়ি ব্যবহার করেন বা অন্যের সঙ্গে গাড়ি ভাগাভাগি করেন, তবে আরও ২০ লাখ মানুষ তা অনুসরণ করবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা তাদের অন্য সহকর্মীর সঙ্গে গাড়ি ভাগাভাগি করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি জানি না। আমার ভাই বিচারপতি সিক্রি আমার প্রতিবেশী। আমি জানি না, তিনি এতে কি বলবেন। কিন্তু যদি একজন বিচারপতি তার সহকর্মীর গাড়ি ভাগাভাগি করেন, তবে এটা লাখো মানুষের কাছে বার্তা পাঠাবে। আমরা প্রয়োজনে হাঁটবো, এমনকি বাসও নিতে পারি।