টাঙ্গাইলে সমবায় সুপার মার্কেটের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ১৫৫ জন ব্যবসায়ীর দোকান বরাদ্দের বিষয়টি সুরাহা না করে নতুন করে বরাদ্দ দিতে থাকায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলে জানান তারা। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়নে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণে তারা কোথাও প্রতিকার পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- টাঙ্গাইল সমবায় সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আহ্বায়ক রাহেলা জাকির। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমির ওপর ১৯৮২ সালে ৬ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দোতলা মার্কেট ও ব্যাংক ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই মার্কেটে ১৫৫টি দোকানের পজিশন সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। নিঃশর্ত দখল বুঝে নিয়ে ব্যাংক লোনসহ বিভিন্নভাবে সাধারণ দোকানদাররা তাতে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন আলোচনা ছাড়াই মার্কেটটি ভেঙে ১০ তলা ভবন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৩ সালের ১লা ডিসেম্বর একতরফা নোটিশের মাধ্যমে সব দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে দখল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। ব্যবসায়ীরা আপত্তি জানিয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়ার পর তৎকালীন পৌরসভার মেয়রের কাছে যান। তিনি দু’পক্ষ ডাকলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হাজির হয়নি। ২০১৪ সালের ১৯শে মার্চ একটি স্থানীয় পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞাপন দিয়ে ভবনটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এরপর সন্ত্রাসী দিয়ে মার্কেট দখল ও ভাঙার কাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করতে গেলে গত ১৭ই এপ্রিল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালায়।