কারও নাম বের করা গেল না শহীদ আফ্রিদির মুখ থেকে। তবে বিপিএল-অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়ে দিলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক তরুণ প্রতিভা দেখেছেন এবার। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হতে পারে তারাই।
আফ্রিদির কাছ থেকে আপাতত বিপিএলে প্রাপ্তি এইটুকু আশাবাদই। আজকের ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়ে গেল এবারের বিপিএলে আফ্রিদি অধ্যায়। ৫ ম্যাচ খেলে ৮৭ রান আর, ৩ উইকেট। এর মধ্যে এক ম্যাচে ৬২ করেছেন বলে রক্ষা। না হলে ৪, ৬, ১৫… ইনিংসগুলোতে বড্ড বিবর্ণ ছিলেন। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই উইকেটশূন্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক! আফ্রিদি পুরোপুরিই ফ্লপ। তাঁকে পেয়ে জ্বলে উঠতে পারেনি সিলেট সুপারস্টারসও। আফ্রিদি খেলেছেন ৫ ম্যাচের তিনটাতেই হেরেছে সিলেট।
আজ সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য আশার কথাই শোনালেন এই অলরাউন্ডার, ‘স্থানীয়দের মধ্যে কিছু খেলোয়াড় আছে খুবই প্রতিভাবান। ড্রেসিং রুমে তাদের সঙ্গটা উপভোগ করেছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হবে তারাই।’
আফ্রিদি আসার আগে থেকেই বিপিএলে নড়বড়ে অবস্থা সিলেটের। সে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি পরেও। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় ব্যাটিং, বোলিংয়ে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। কিছু ম্যাচে হয়তো সেটা কাজে লাগাতে পেরেছি, তবে আমাদের ধারাবাহিক থাকা উচিত ছিল। প্রতি ম্যাচেই অনেক ভুল করেছি আমরা।’
আজকের ম্যাচটি নিয়ে বললেন আলাদা করে, ‘আমাদের এই ম্যাচটা জিততেই হতো। কিন্তু চতুর্থ থেকে অষ্টম ওভারের মধ্যে আমরা অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলি। জুটি গড়তে পারিনি, আমার মনে হয় হারার কারণ সেটাই।’
দলের আর নিজের ব্যর্থতা বাদ দিলে বিপিএলটা নাকি উপভোগই করছেন। সে জন্য ধন্যবাদও দিয়েছেন বিসিবিকে, ‘বিসিবি খুব ভালোভাবে টুর্নামেন্টটা আয়োজন করেছে। সে জন্য তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। নিজেও খুব উপভোগ করেছি।’ আফ্রিদির আশা ভবিষ্যতেও পৃথিবীর সব দেশ থেকেই এই টুর্নামেন্টে আগ্রহ নিয়ে খেলতে আসবেন ক্রিকেটাররা। তবে সেটার জন্য একটা শর্তও দিয়ে রাখলেন, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে যদি তারা (বিসিবি) টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করে নেয়…।’
‘স্বচ্ছ’ বিপিএলে হঠাৎ এ কথা কেন? উত্তরটা আফ্রিদির মুখ থেকেই শুনুন, ‘কোনো কোনো খেলোয়াড় বলছে এখনো তারা টাকা পায়নি।’ তবে তিনি আস্থা রাখছেন বিসিবির ওপর, ‘বিসিবি এবার খেলোয়াড়দের টাকা-পয়সার দায়িত্ব নিয়েছে। আশা করি তারা সমস্যাগুলো দূর করবে।’