দেশব্যাপী দলের প্রার্থীদের প্রচারণায় সরকার সমর্থরা প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। হামলার ভয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছে দলটি। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতন ও আক্রমণের মাত্রা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দলের নেতাকর্মীরা প্রাইভেট মার্সেনারীর মতোই আচরণ করছে। প্রার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো হচ্ছে। দলের প্রার্থীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, শনিবার নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহিরউদ্দিন হারুণের উঠোন বৈঠকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা ককটেল হামলা, গুলিবর্ষণ করেছে। নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শামীম আল রাজীর প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, যশোর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, ও ফেনীসহ বেশ কয়েকটি জেলায়। এ ধরনের আতঙ্কের পরিবশে বজায় রেখে একতরফা নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নেয়নি অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, পৌর নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করছে না সেটা প্রমাণ করতে হবে। তিনি বলেন, বহুত্ববাদী গণতন্ত্র এখন ঘরছাড়া। দেশে শুধু এখন আওয়ামীকরণ নয়, চলছে হাসিনায়ন। এক ব্যক্তির দুঃশাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা ও স্বচ্ছ নির্বাচন অপরিহার্য। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আগামী ৩০শে ডিসেম্বরের পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সকল চক্রান্তের জাল চিহ্ন করে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী আহমেদ। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জামায়াতের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবসুদ সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।