জনপ্রশাসনে পদোন্নতির জন্য সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে (এসএসবি) বসার খবরে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। গতকাল সারা দিন পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে ধরনা দেন। ফ্রান্স থেকে দুপুরে দেশে ফিরে অফিস করেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সরকারি কাজে অফিসের বাইরে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। প্রশাসনের এ দুই শীর্ষ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে রেকর্ডসংখ্যক কর্মকর্তাকে খোঁজ নিতে শোনা গেছে, স্যার কখন আসবেন? কাল (আজ) কি এসএসবি বসবে। প্রতিটি দপ্তরে গিয়ে এসব কর্মকর্তা এসএসবি বসার খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকাল তিনটায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষে বসছে এসএসবির সভা। ওই সভায় পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের ‘পদোন্নতি’র বিষয়ে আলোচনা হবে। এ নিয়ে তদবির এড়াতে এসএসবির সদস্যরা তাদের প্রোগ্রাম শিডিউলে ‘সভা’, ‘সমন্বয় সভা’ বা অন্য কোনো নাম লিখে রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, ১৫, ১৭, ১৮ ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তারা ভিড় করেছেন। সিনিয়র কর্মকর্তারাও পদোন্নতি পাওয়ার জন্য এসেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের তালিকা কমিয়ে আনতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে গ্রিন সিগন্যাল পান। এর পরই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতনদের ওইভাবে নির্দেশনা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব এবং উপসচিব- তিন স্তরেই পদোন্নতি হবে। বিলম্বে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ২০০ কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত কর্মকর্তারা এবার পদোন্নতির যোগ্য বিবেচিত হবেন। এসব কর্মকর্তা পদোন্নতিতে অগ্রাধিকার পাবেন। এর আগে গত এপ্রিলে প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব তিনটি ধাপে ৮৭৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরপর প্রশাসনে আর কোনো পদোন্নতির ঘটনা ঘটেনি।